শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও বরিশাল সদর উপজেলা শাখার ১নং সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বরিশাল নগরীর সদর রোডস্থ হোটেল কিং ফিশারে সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে এ কথা জানান তিনি। আবু নাসের রহমাতুল্লাহ’র উদ্যোগে এই ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের কণ্ঠ চেপে ধরেছিলেন। তার ঘরানার ৪টি পত্রিকা বাদে সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করেছিলেন। অন্যায়ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বন্ধ করা এসব পত্রিকা পুনরায় চালু করে দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একই কাজ করেছেন তার কন্যা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করে অনেক সাংবাদিককে তিনি নানাভাবে হয়রানি করেছেন। অনেক সাংবাদিককে গুম-খুন হতে হয়েছে, কারাবরণও করতে হয়েছে।
আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেন, গণমাধ্যমকর্মী সকল মানুষের খোঁজখবর নেয়, কিন্তু তাদের কেউ খোঁজ নেয় না। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উচিত গণমাধ্যমকর্মীদের খোঁজখবর নেয়া। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকলে সেই দেশে গণতন্ত্র থাকে না। গণতান্ত্রিক একটি দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীন ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা সমাজের ভালো-মন্দ তুলে ধরবেন।
ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম খসরু, প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্বা নুরুল আলম ফরিদ, যুগান্তরের চিত্র সাংবাদিক শামীম আহমেদ, শাহীন হাসান (বাংলা ভিশন), কাওছার হোসেন (চ্যানেল ২৪), সাইদ পান্থ (চ্যানেল আই), সুখেন্দু এদবর, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ, জিয়া শাহীন (বরিশাল প্রতিদিন), আল মামুন (আমাদের সময়), পারভেজ রাসেল (মাইটিভি), বরিশাল বার্তার সম্পাদক নুরুল আমিন, সিহাব তোহাসহ বরিশালে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মী।
ইফতারের পূর্বে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য দোয়া করা হয়।
মন্তব্য করুন