মাগুরায় যৌন নির্যাতনের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ শোক জানান। একইসঙ্গে আছিয়ার খুনি ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক প্রকাশ্য বিচারও দাবি করেছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, কয়েক দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে পাশবিক যৌন নির্যাতনের শিকার শিশু আছিয়া আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়েছে। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক জানাচ্ছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আছিয়ার খুনি ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক প্রকাশ্য বিচার দাবি করছি এবং প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন সংশোধন করে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছি। যাতে এমন পাশবিক অপরাধ করার সাহস আর কেউ না করে। প্রকাশ্যে ধর্ষকদের শাস্তি দেওয়া হলে এমন অনেক অপরাধ রোধ করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি। ইসলাম এজন্যই এসব অপরাধের শাস্তি প্রকাশ্যে দেওয়ার বিধান রেখেছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আট বছরের শিশুকন্যা আছিয়ার নৃশংস ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা জাহেলি যুগের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। ইসলামে ধর্ষণকারীকে জনসম্মুখে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘তাদের শাস্তি দিতে যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয় এবং মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।’ (সুরা নুর, আয়াত : ২) রাসুল সা.-এর যুগে এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হলে বিশ্বনবি (সা.) ধর্ষককে হত্যার শাস্তি দেন। অর্থাৎ ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন