খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বন্ধুপ্রতিম সব দেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
রোববার (৯ মার্চ) রাজধানীর লো-মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে খেলাফত মজলিস।
কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বাংলাদেশে সংবিধান, নির্বাচন, প্রশাসন, অর্থনীতিসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। আমরা আশা করি এসব ক্ষেত্রে বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আপনাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বন্ধুপ্রতিম সব দেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের কাউন্সিলর আলবার্তো জিওভানোত্তি, রিপাবলিক অব চীনের পলিটিকাল ডিরেক্টর ঝাং জিং, এ্যাটাসি ঝেং ঝিহান, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের হেড অব পলিটিক্যাল সেকশন জাভেদ আসকারী, পাকিস্তান হাইকমিশনের কাউন্সিলর জামিল আহমদসহ কূটনৈতিক মিশনের সদস্যরা শরিক হন।
অনুষ্ঠানে খেলাফত মজলিসের নেতাদের মধ্যে নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আবু সালেহীন, শিল্প ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য কর্নেল (অব.) এমদাদুল হক, অধ্যাপক মাওলানা সাইফউদ্দিন আহমদ খন্দকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, প্রত্যেক মুসলমানের আধ্যাত্মিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাস মাহে রমাজন। আত্মশুদ্ধি ও আত্মউপলব্ধির মাস হচ্ছে রমজান। মাসব্যাপী রোজা পালনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজের পরিশুদ্ধির পাশাপাশি সমাজের অসহায় ও ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য সহানুভূতিকে জাগ্রত করে। এ মাসে সর্বশেষ আসমানী কিতাব আল কোরআন নাজিল হয়েছে পুরো দুনিয়ার মানুষের পথ চলার নির্দেশিকা হিসেবে।
তিনি কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব চাই। আমরা আশা করি গাজা যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হবে। রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার সমাধান হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি হবে। ইফতারির পূর্বে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও বিশ্বশান্তি কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করেন আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।
মন্তব্য করুন