কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নারী-শিশু ধর্ষণ ও সহিংসতা নিয়ে জামায়াতের উদ্বেগ

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি : সংগৃহীত
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি : সংগৃহীত

দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। রোববার (৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এই উদ্বেগ জানান।

বিবৃতিতে বলেন, গত ৫ মার্চ দিবাগত রাতে মাগুরা সদরে বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ৮ বছর বয়সী এক মেয়ে শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে মারাত্মক আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। সে এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

এদিকে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চার মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার নাম করে পানগাঁও ঋষিপাড়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ডেকে নিয়ে কয়েকজন কুলাঙ্গার পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

অপর এক ঘটনায় গত ৫ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক ঢাবি শিক্ষার্থীকে ‘ওড়না ঠিক নেই’ বলে নাজেহাল করা হয়। এসব ঘটনায় প্রমাণিত হয় দেশে নারী ধর্ষণ ও সহিংসতা বেড়ে গিয়েছে। এইসব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় দেশবাসীর সাথে সাথে আমরাও গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

তিনি আরও বলেন, মাগুরার আট বছরের মেয়ে শিশুর ধর্ষক ও ধর্ষণের সহযোগিতাকারীদের অপরাধ এক ও অভিন্ন। এদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এরকম ধর্ষক নামের নিকৃষ্টদেরকে পাকড়াও করে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, বাস, ট্রেন, লঞ্চ, অফিস, বাসা-বাড়ি, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা কোথাও আজ নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নেই। সারা দেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে তার খণ্ডিতাংশই সংবাদপত্র ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। বাস্তব অবস্থা আরও ভয়াবহ। নারী ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা একটি মারাত্মক জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে ইমাম, খতিব ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বসহ সমাজের সচেতন নাগরিকদেরকে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ধর্ষকদেরকে ঘৃণা ও সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।

তিনি বলেন, নৈতিক অবক্ষয়ের কারণেই সমাজে নারী ও শিশু ধর্ষণ, হত্যা, ছিনতাই, গুম, এসিড সন্ত্রাস ইত্যাদি বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থার জন্য দায়ী নীতিহীন শিক্ষা ও সহশিক্ষা ব্যবস্থা, মাদকাসক্তি, সিনেমা এবং নাটকে অশালীন দৃশ্য প্রচার। এ অবস্থা থেকে একমাত্র কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাই মানুষকে মুক্তি দিতে পারে। নৈতিক শিক্ষা দিয়ে মানুষের বিবেককে জাগ্রত করে তাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব, মানবিক মূল্যবোধ ও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করতে হবে। সমাজের সর্বস্তরে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী নীতি-আদর্শ অনুসরণের উপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করতে হবে। তাহলেই এ অবস্থার অবসান হতে পারে।

মাগুরার মেয়ে শিশুর ধর্ষকদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা পূর্বক দেশে নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণ এবং হত্যা বন্ধের ব্যাপারে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাফলংয়ে বালুর সাইট দখল নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

মসজিদে কিশোরীকে দুই দফা ধর্ষণের অভিযোগ, ইমাম আটক

লক্ষ্মীপুরে জেলেদের হামলায় পুলিশসহ আহত ৪, আটক ১৩

পিআইসিইউতে মাগুরার সেই শিশুটি

ইউনাইটেডের সাথে ড্র করে আর্সেনালের শিরোপা স্বপ্নে ধাক্কা

ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে যবিপ্রবিতে বিক্ষোভ মিছিল

সাবেক দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামের সহযোগী শেখ সাইদ গ্রেপ্তার

ভিনি-এমবাপ্পের গোলে রিয়ালের সহজ জয়

ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

সারা দেশে নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে চবিতে মশাল মিছিল

১০

ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে বাকৃবিতে বিক্ষোভ

১১

ওয়ানডে ছাড়ছেন না রোহিত শর্মা, নিজেই দিলেন ঘোষণা

১২

ককটেল ফাটিয়ে সোনার দোকানে ডাকাতি, মালিক নিহত

১৩

নোমানের স্মরণসভায় বিএনপির হাতাহাতি

১৪

তিন মাসে ৩ দেশ সফরে যাবেন ড. ইউনূস

১৫

দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০ মাসে সর্বনিম্ন

১৬

জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে আ.লীগ নিষিদ্ধ চায় এবি পার্টি 

১৭

ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে কবি নজরুল কলেজে প্রতিবাদ সমাবেশ

১৮

আজকের ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’র ৫ দফা দাবি

১৯

গ্রাম্য সালিশে দুগ্রুপের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতাসহ আহত ২০

২০
X