কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ব নারী দিবস

নারীর প্রকৃত মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ছাত্রশিবিরের আহ্বান

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের লোগো। গ্রাফিক্স কালবেলা
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের লোগো। গ্রাফিক্স কালবেলা

নারী সমাজ মানব সভ্যতার অপরিহার্য অংশ। সভ্যতার বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধনে নারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। নারীর অধিকার সংরক্ষণ ও প্রকৃত মর্যাদা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

শনিবার (৮ মার্চ) ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পরিবার ও সমাজ গঠন, জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা ও জাতীয় সংকট নিরসনে নারীর রয়েছে অসামান্য অবদান। গত জুলাই অভ্যুত্থানেও ছাত্র-জনতার সঙ্গে নারীরাও সম্মুখ সারিতে ছিলেন। গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার এ লড়াইয়ে অনেকেই শাহাদাত বরণ করেছেন। বিশ্ব নারী দিবসে আমরা তাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নারীদের ওপর নির্যাতন, ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনা বেড়েই চলেছে।

গতকাল (৭ মার্চ) মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিগত ৫ বছরে কমপক্ষে ১১৭৫৮ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে এবং ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে অন্তত ৬৩০৫ জন। আমরা নারীদের ওপর চলমান এই বর্বরতা ও নিপীড়নের তীব্র নিন্দার পাশাপাশি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

নেতারা আরও বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইসলামই নারীর সম্মান, মর্যাদা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন-অগ্রগতিতে পথিকৃৎ হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। ইসলাম আগমনের পূর্বে নারী ছিল চরম অবমাননা ও শোষণের শিকার। কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণকে অভিশাপ মনে করা হতো। নারীরা সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল এবং সামাজিকভাবে ছিল না কোনো সম্মান। ইসলাম নারীকে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। কন্যা, স্ত্রী ও মায়ের প্রতিটি পর্যায়ে ইসলাম নারীর অধিকার নিশ্চিত করেছে। নারীর নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের পাশাপাশি ইসলামী অনুশাসনের বাস্তবায়ন অপরিহার্য।

নেতারা বলেন, বর্তমান সময়ে নারী স্বাধীনতার নামে নারীদের পণ্যায়ন করা হচ্ছে। মিডিয়া, ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি ও কর্পোরেট সংস্কৃতির মোড়কে তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে মুনাফা অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে। কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য, পারিবারিক অবক্ষয়, নারীর প্রতি সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতা আজ প্রকট আকার ধারণ করেছে।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, নারী দিবসকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর নানাবিধ কর্মসূচি পালন ও উদ্যোগের ঘোষণা শোনা গেলেও বাস্তবে নারীদের অধিকার সংরক্ষণ করে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা এখনও গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। আমরা বিশ্বাস করি, নারীর প্রকৃত মর্যাদা কেবল তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে, যখন আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি সমাজে ইসলামী মূল্যবোধের সঠিক চর্চা নিশ্চিত হবে। বিশ্ব নারী দিবসে আমরা সমাজের সকল স্তরে নারীর সম্মান, নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে ইসলামের বিধান পরিপূর্ণভাবে অনুশীলন করার আহ্বান জানাচ্ছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এনসিপির সঙ্গে সম্পৃক্ত নিয়ে যা বললেন উমামা 

চরের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে করলা 

গরমে বাইরে থেকে ফিরেই গোসল, শরীরে যে ক্ষতি ডেকে আনছেন

কানাডার সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির জয়

ভয়াল ২৯ এপ্রিল : দুঃসহ স্মৃতি আজও কাঁদায় উপকূলবাসীকে

পেঁয়াজ সংরক্ষণের ‘মডেল ঘর’ নির্মাণে নয়ছয়, বিপাকে কৃষক

‘দেবদুলাল বাঁচতে চায়’

আবারও কাশ্মীর সীমান্তে গোলাগুলি, চরম উত্তেজনা

সাতসকালে ঢাকায় বইছে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে চাকরির সুযোগ

১০

ট্রেন চালুর আশ্বাস, ৩৮ ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার

১১

এবার ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের পদত্যাগ

১২

পাকিস্তানে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ৭

১৩

রেললাইনে মিলল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ

১৪

দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১৬ জেলায় ঝড়ের আশঙ্কা

১৫

২৯ এপ্রিল : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৬

২৯ এপ্রিল : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৭

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৮

বজ্রপাতে কৃষক নিহত

১৯

১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

২০
X