ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তোলা শিক্ষার্থীরা এখন জাতীয় রাজনীতি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন।
সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে বৈষম্যমূলক কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ এবং গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিন ইয়ামিন বলেন, ছাত্রকোটায় উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়ে বলা হয় ওনারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি। পরবর্তীকালে আমরা দেখলাম যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিল সব ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সম্মিলিত প্লাটফর্ম। সেখান থেকে সব ছাত্র সংগঠনের পদধারী নেতাকর্মীদের বের করে দেওয়া হয়। পরে চালু করা হয় সমন্বয়ক কোটা। এর পরে আরেকটি কোটা চালু করা হয়, সেটি হলো বিভিন্ন সংস্কার কমিশনে ছাত্র প্রতিনিধি কোটা।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে কোনও প্রোগ্রাম কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, ছাত্র রাজনীতি করা যাবে না। যারা এই কাজ গুলো করেছে তারাই এখন নতুন ছাত্র সংগঠনের নেতা।
‘আমরা এখন দেখছি, সমন্বয়ক কোটায় কীভাবে বড় বড় জায়গায় চলে যাওয়া যায়। মোংলায় কর্মচারীদের প্রধান উপদেষ্টা হওয়া যায়। চাঁদাবাজির কথাও শোনা যায়।’
তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। আমাদের জুলাইয়ের যে চেতনা তার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক অবস্থানে গিয়ে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে তিদনটি দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি বিন ইয়ামিন। এগুলো হলো- বৈষম্যমূলক কোটা অনতিবিলম্বে বাতিল করা, ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এবং শহীদ পরিবারকে এক কোটি টাকা এবং আহত পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ৫০ লাখ টাকা এককালীন প্রদান করা।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সংসদের আহ্বায়ক ছানাউল্লাহ হক বলেন, কোটাকে কবর দেওয়ার মাধ্যমে এই সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য আবার কোটা ব্যবস্থা ফিরিয়ে নিয়ে আসছে। কোটা নিয়ে খেলতে গিয়ে শেখ হাসিনা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা চাই না আপনারা একই খেলা খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হন।
মন্তব্য করুন