বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব মনোনীত হয়েছেন অ্যাডভোকেট হুমায়রা নুর। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী। নিয়মিত প্রাকটিস করার পাশাপাশি তিনি এবার রাজনীতিতে যুক্ত হলেন।
এর আগে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নতুন এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। দলটির ১৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে মোট ২০ জন নারী স্থান পেয়েছেন।
জানা গেছে, অ্যাডভোকেট হুমায়রা নুরের ছাত্রজীবন থেকেই মানুষের দুঃখ দুর্দশা দূর করা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করার বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে। ছিলেন হিউম্যান সেইফটি ফাইন্ডেশনের বোর্ড মেম্বারও। তার মা-বাবা দুজনেই ডাক্তার। বাবা ডা. এবিএম ইয়াহিয়া একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং মা অধ্যাপক ডা. নাজনীন আক্তার হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের ফিজিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। স্বামী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমানও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সহায়তা করতে আইনজীবী হয়েছেন পারিবারিক আর সামাজিক প্রতিকূলতা পেরিয়ে। বিগত ১২ বছর ধরে অসহায় বা নিষ্পেষিত মানুষকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন, লড়াই করেছেন অন্যায় আর শোষণের বিরুদ্ধে।
অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর জানান, আমি রাজনীতি বিমুখ ছিলাম। কারণ বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর বিন্দুমাত্র আস্থা ছিল না। কিন্তু জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার সঙ্গে অংশ নিয়ে দেশকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হন, তখন ছাত্র জনতার প্রতি তার আস্থা আর বিশ্বাসের জায়গা থেকে রাজনীতিতে যোগদান করে দেশকে নতুন করে গোছানোর তাগিদ অনুভব করি।
এখন সময় এসেছে, লুটপাট, বৈষম্য, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দমনমূলক রাজনৈতিক ব্যবস্থার মূল উৎপাটন করে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করার, যেখানে নিশ্চিত করা হবে একটি অধিকার ও মর্যাদাভিত্তিক, দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, যেখানে জনগণই হবে ক্ষমতার উৎস।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেল থেকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এক সমাবেশের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আত্মপ্রকাশকালে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনারসহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি।
মন্তব্য করুন