বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন বলেছেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে জড়িয়ে ১০ কোটি টাকার মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে তাকে, তার পরিবার এবং তার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে এবং প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আধা শতাংশ জমির দাম ১০ কোটি কীভাবে হয়?
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ছয় দিনের ব্যবধানে ১১ আগস্ট দলের সব পদ-পদবি স্থগিত করা হয় বিলকিস জাহান শিরিনের।
একটি গণমাধ্যমে ‘বরিশালে ১০ কোটি টাকার পুকুর দখল বিএনপি নেত্রী শিরীনের’ সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তার এই পদ স্থগিত করা হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে একই গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আরও অনেক সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেসব বিষয় নিয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় অভিযোগ করে শিরীন বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর যখন দেশে স্বস্তি ফিরে আসে ঠিক তখনই তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, একজন নারীকে রাজপথে প্রতিযোগিতা করে উঠে আসতে হয়। সেখানে আনুপাতিক হারে খুব অল্প সংখ্যক নারীই রাজনীতিতে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেন। তিনি সেই ভাগ্যবানদের একজন- একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে এসেছেন। আজকের বিলকিস জাহান শিরিন হতে পেরেছেন। কিন্তু আজ যেখানে সবাই মিলে তাকে সহযোগিতা করার কথা, পাশে থাকার কথা সেখানে কিছু নষ্ট-ভ্রষ্টরা তার ক্ষতি করতে উঠেপড়ে লেগেছে। রাজপথে টিকতে না পেরে অন্ধকার দিয়ে তার পথরোধ করার চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বিলকিস জাহান শিরীন বলেন, ‘পুকুর দখল’ কথাটি মিথ্যা ও বানোয়াট এবং ষড়যন্ত্রমূলক। বিগত ৭০ বছরের পূর্বে ক্রয়সূত্রে তার দাদা এ জমির মালিকানা ভোগ-দখল করে আসছেন। ওই জমিতে ২০/২৫ জনের অধিক ওয়ারিশ রয়েছে। খাজনাসহ সরকারি অন্যান্য ফি তারাই পরিশোধ করে আসছে। ইতোমধ্যে অনেক ওয়ারিশ তাদের অংশ বিক্রি করেছে এবং সেখানে জলাশয় ভরাট করে স্থাপনাও নির্মিত হয়েছে।
ওয়ারিশ হিসেবে তার বাবা ৩ শতকের মালিক যেখানে বাবার ওয়ারিশ হিসেবে তিনি আধা-শতাংশেরও কম অংশের মালিক। অথচ উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে জড়িয়ে ১০ কোটি টাকার মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে তাকে, তার পরিবার এবং তার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে এবং প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাছাড়া জলাশয় ভরাটের ক্ষেত্রে তার কোনো দায়বদ্ধতা নেই। কারণ ওয়ারিশরা কেউ তার অধীনস্থ নয়। তারা সবাই ওয়ারিশসূত্রে মালিক।
তিনি আরও বলেন, একইভাবে একই সংবাদমাধ্যম তাকে জড়িয়ে একের পর এক মিথ্যা ও বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে ‘অর্ধকোটি টাকা নিয়ে ফের বিতর্কে শিরীন’ শিরোনামে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অসত্য সংবাদ প্রচার করে। অথচ ওই ঘটনার সঙ্গে দূরবর্তী কোনো সম্পৃক্ততাও তার নেই।
এছাড়াও তিনি বলেন, তিনি সম্পূর্ণভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার। এর মাধ্যমে একটি চিহ্নিত মহল তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। যেখানে তারা সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করছে বলে তিনি মনে করেন।
মন্তব্য করুন