বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে নতুন ছাত্রসংগঠন গঠন করতে যাচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের একটি অংশ।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে আত্মপ্রকাশ করবে সংগঠনটি। নাম চূড়ান্ত না হলেও কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্ব প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে আসছে নতুন এই ছাত্রসংগঠন। তারা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে নতুন এই ছাত্রসংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি হবে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটি সংগঠন। ‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট’, ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’ নীতিতে ছাত্র-নাগরিকের স্বার্থকে বাস্তবায়নের প্রয়াসই হবে এই ছাত্রসংগঠনের মূলমন্ত্র। বিশেষত নেতা নির্বাচনে নিয়মিত ছাত্রত্ব থাকাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। এ ছাড়া নারীদের জন্য ‘কমফোর্ট পলিটিক্স’ তৈরির পরিকল্পনা তাদের। তথ্যমতে, নতুন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হচ্ছেন সাবেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক হবেন আব্দুল কাদের। পরামর্শ ও আলোচনার ভিত্তিতে এ দুই পদ চূড়ান্ত হলেও সদস্য সচিব পদে দুজন করে আলোচনায় রয়েছেন। তারা হলেন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব পদে জাহিদ আহসান এবং তাহমিদ আল মোদাচ্ছির চৌধুরী, ঢাবির সদস্য সচিব পদে মহির আলম এবং লিমন মাহমুদ হাসান। এ ছাড়া মুখপাত্র পদে থাকছে নারী নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মুখপাত্র হিসেবে আশরেফা খাতুন এবং ঢাবির মুখপাত্র হিসেবে রাফিয়া রেহনুমা হৃদির নাম জানা গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার কালবেলাকে বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি সংগঠন আত্মপ্রকাশের সময় চূড়ান্ত হয়েছে। আমরা নিয়মিত ছাত্রত্বে গুরুত্ব দিচ্ছি। নেতা নির্বাচন কিংবা সদস্যপদ পেতে হলে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৮ বছর। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটির ক্ষেত্রে অনার্সে ভর্তির পর সাত বছর পর্যন্ত সদস্য বা পদ পাওয়ার সুযোগ থাকবে। আমরা চাই ছাত্ররাজনীতিকে নিয়মিত ছাত্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে। এ ছাড়া নারীদের জন্য রাজনীতিতে ভালো পরিবেশ তৈরিতে আমরা কাজ করব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের কালবেলাকে বলেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের শক্তি নিয়মিত ছাত্রদের নিয়ে একটি স্বতন্ত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি, যেখানে শুধুমাত্র নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই নেতৃত্বে থাকবেন। যারা এই সংগঠনে সদস্য হবেন কিংবা পদ পাবেন তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে পদত্যাগ করবেন। এই ছাত্র সংগঠন কখনো লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক চর্চা করবে না। এর কোনো মাদার পার্টি থাকবে না এবং মাদার পার্টির কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে না। শিক্ষার্থীরা জুলাই অভ্যুত্থানে যে রায় দিয়েছেন, সে অনুযায়ী আমাদের সংগঠন গঠিত হবে। আমরা এটা ওয়াদা দিচ্ছি।
মন্তব্য করুন