খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মসূচি থেকে দেশের মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার কাজটি করেছে। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, রাত জেগে ২০টা টিভি, ১০টা অনলাইন পোর্টাল, মূলধারার পত্রিকা, কয়েকটা ইউটিউব চ্যানেল আর অনেকগুলা টকশো বিশ্লেষণ করে আমার উপলব্ধি নিম্নস্বরুপ। ভাষাগত নিয়ন্ত্রণ পুরো না হারিয়ে বলতে চাই খুলনা ও কুয়েটের কিছু কুকুর সমতূল্য দুর্বৃত্তের কারণে বাংলদেশের অন্যতম ঐতিহাসিক একটি আন্দোলন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, এই দাবিতে তিস্তা বেষ্টিত উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলার এগারোটি স্থানে ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি থেকে জাতীয় পর্যায়ে যে জাগরণ সৃষ্টি হওয়ার উচিত ছিল সেটিকে অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে। ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও, জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও।’
ইশরাক লেখেন, ভারতের অন্যায় ও অবৈধ আচরণের কারণে কয়েক দশক ধরে দুই কোটি জনগণের আহাজারি নিরসনের এই কর্মসূচি কয়েকটি মানুষরূপী কুকুরের কামড়া কামড়িতে দেশের মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার কাজটি করল। কুকুরগুলো কোন দল করে জানি না, প্রয়োজনও নেই। যারাই দোষী তাদেরকে খাঁচাবন্দি করার দায়িত্ব পুলিশের। তারা সেটি করতে ব্যর্থ হলে তাদেরকেও ষড়যন্ত্রের অংশীদার হিসেবেই গণ্য করতে হবে।
উল্লেখ্য, কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
মন্তব্য করুন