যে কোনো মূল্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল কুয়েটে ছাত্রদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সব শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদীদের নিজেদের মধ্যেই রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। সবাইকে সংযত ও পরমত সহিষ্ণুতার পরিচয় দিতে হবে। গতকালের ঘটনায় পতিত স্বৈরাচারের দোসররা অনুপ্রাণিত হবে ও ষড়যন্ত্রের ফাঁদ বিস্তৃত করবে।
নেতারা বলেন, রাজনীতি হোক প্রকাশ্যে। কেউ যদি এটা ভেবে থাকেন জুলাইয়ের মিত্র সাবেক ছাত্রলীগ আর ছাত্রশিবির এবং ছাত্রদল জুলাইয়ের শত্রু, তাহলে তো জুলাইয়ের অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা কঠিন হয়ে যাবে। আমরা অপরাধীদের শাস্তি চাই, পাশাপাশি সহাবস্থান ও প্রগতির রাজনীতির পক্ষে। ছাত্রদলকে বাদ দিয়ে জুলাই স্বাধীনতা রক্ষা করা যাবে না। জোট নেতারা জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সবাইকে উদারতা, সহনশীলতা, ভিন্নমত এবং সমালোচনাকে গ্রহণ করার মানসিকতা নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যকে সুদৃঢ় করার উদাত্ত আহ্বান জানান। নেতারা আশঙ্কা করেন, নিজেদের মধ্যে অনৈক্য ফ্যাসিস্টদের নতুনভাবে পুনর্গঠনে সহায়তা করবে। আসুন আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ থাকি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপির) চেয়ারম্যান ফিরোজ মুহাম্মদ লিটন ও নয়াগণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এমএ মান্নান।
মন্তব্য করুন