মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কাগমারী সম্মেলন দিবস উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মওলানা ভাসানীকে আমাদের মহান স্বাধীনতার স্থপতি উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন একজন দূরদর্শী রাজনীতিবিদ। ১৯৫৭ সালে তিনি কাগমারী সম্মেলনে পাকিস্তানিদের উদ্দেশে ‘আস্সালামু আলাইকুম’ বলে তাদের থেকে আলাদা হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এবং সে ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জন। মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ, দেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় ঐক্যের যে বাণী রেখে গেছেন, তা আমাদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিমের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. জসীমউদ্দিন আহমদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের বাবুল বিশ্বাস, জামিল আহমেদ, নুরুজ্জামান হীরা, আহসান হাবিব, নারী নেত্রী সোনিয়া আক্তার ও যুব পরিষদের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, মওলানা ভাসানী আমাদের মহান স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ভাসানীর অবদান মুছে ফেলে ইতিহাস বিকৃতি করেছে। মওলানা ভাসানীর জীবন ও কর্ম যথাযথভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করলে জাতি উপকৃত হবে।
মন্তব্য করুন