বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের ধুয়া তোলাও ভালো লক্ষণ নয়। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বিভ্রান্ত না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, ভ্যাট ও করের বোঝা থেকে মানুষ বাঁচানো, গণহত্যার বিচার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাইফুল হক বলেন, জনগণের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতার ছয় মাস পরও রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের কার্যকরী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাদের বিশেষ কোনো দিকে হেলে পড়ার সুযোগ নেই। সরকারের অদলীয় নিরপেক্ষ চরিত্র নষ্ট হলে তাদের অধীনে নির্বাচনও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলতে চাই না। সে কারণে সরকারকে তার নিরপেক্ষ বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে মতৈক্য রয়েছে। সে কারণে সংস্কার ও বিচারের ইস্যুকে নির্বাচনের বিপরীতে হাজির করার কোনো অবকাশ নেই।
এছাড়াও তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধের বিচার যেমন প্রতিশোধের বিষয় নয়, পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের গণহত্যার বিচারও কোনো প্রতিহিংসা-প্রতিশোধের বিষয় নয়। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেই এসব বিচারের কাজ সম্পন্ন করা দরকার।
সমাবেশে পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে মানুষ সংস্কারের তৎপরতা হজম করতে পারবে না। বাজার সিন্ডিকেটের ডেভিলদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের এই সদস্য বলেন, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার বিশেষ কাজে আসবে না।
পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের আরেক সদস্য আকবর খান বলেন, মানুষের অধিকার ও মুক্তির আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি গড়ে উঠেছে। শহীদদের রক্তের শপথ নিয়ে সাম্যভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাজ না হওয়া পর্যন্ত তারা লড়াই-সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।
পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মাহমুদ হোসেন, ঢাকা মহানগর কমিটির আবুল কালাম আজাদ, মীর রেজাউল আলম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। সংহতি বক্তব্য দেন অরবিন্দু বেপারী বিন্দুর, শেখ মোহাম্মদ শিমুল, এমডি ফিরোজ, আবদুল হাকিম, আবু হানিফ ও মহানগর নেতারা।
বক্তারা রোজার আগেই বাজার নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন