শেখ হাসিনার অনলাইনে প্রদত্ত বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও তা গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান প্রেরিত এক বিবৃতিতে সাইফুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত, যা উল্টো গণঅভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সামাজিক পুনর্বাসনের রাস্তাই কেবল প্রশস্ত করবে।
সাইফুল বলেন, শেখ হাসিনার উসকানির ফাঁদে জড়িয়ে পড়লে অনভিপ্রেত অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে একদিকে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের শক্তি শক্তিশালী হবে, অন্যদিকে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাবে। এইসব অরাজক ঘটনার দায়দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারে না। সরকারের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই যে দেশজুড়ে এইসব ঘটনা সংঘটিত হতে পেরেছে- তাও স্পষ্ট। এই ধরনের ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের অকার্যকারিতাকেই বড় করে তুলছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার গতকালের (বুধবার) বক্তব্যে ছাত্র শ্রমিক জনতার গণহত্যা এবং তার ষোল বছরের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের আমলে সংঘটিত অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা দূরের কথা- কোনো ধরনের অনুশোচনা পর্যন্ত নেই, বরং তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি প্রকারান্তরে উসকানি সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। শেখ হাসিনার এসব তৎপরতায় ভারতের মোদি সরকার ও বিজেপিরও যে মদদ রয়েছে, তাও পরিষ্কার। গণহত্যার অপরাধের জন্য বাংলাদেশে যখন শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তখন শেখ হাসিনার এই ধরনের বক্তব্য ঔদ্ধত্যের শামিল।
সাইফুল হক বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির উসকানি ও নাশকতা সৃষ্টির অপতৎপরতা মোকাবিলায় ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্টদের কৌশল নিতে পারে না। এই ধরনের কর্মকাণ্ড একদিকে সামাজিক নৈরাজ্যেরই বিস্তার ঘটাবে, আর অন্যদিকে গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন ও জনগণের মধ্যে ঐক্যের পরিবর্তে আরও বিভক্তি-বিভাজন তৈরি করবে।
তিনি এই ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য দাবি করেন। একইসাথে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন