ছাত্র-জনতার রোষাণলের দায় শেখ হাসিনাকেই বহন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গতকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় নেতার বলেন, পতনের ছ’মাস পার হলেও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার উসকানি এখনো বন্ধ হয়নি। ছাত্র-জনতার রোষাণলের দায় তাকেই বহন করতে হবে। ভারতের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র-জনতাকে সকল ষড়যন্ত্র ধৈর্যের সাথে মোকাবিলা করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট বুকে লালন করে সতর্কতার সাথে অগ্রসর হতে হবে। গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবি আরো জোরালো করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, যতদিন জুলাই গণহত্যার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হবে, ততদিন আওয়ামী লীগের কোনো তৎপরতা জনগণ সহ্য করবে না। জুলাইসহ বিগত ১৫ বছরে অসংখ্য গুম-খুনের সাথে সুস্পষ্টভাবে জড়িত আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। হাজার হাজার নিরপরাধ ছাত্র-জনতাকে হত্যা, শত শত মানুষকে অন্ধ ও পঙ্গু করেও দাম্ভিকতা প্রদর্শন করে যাচ্ছে খুনিরা। এদের অনুশোচনার লেশমাত্র নেই। এই অপশক্তি দ্বারা দেশকে অস্থিতিশীল করার আর কোনো ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। পলাতক খুনিরা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। খেলাফত মজলিস জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করবে। ফ্যাসিবাদের বাহক আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে এই মুহূর্তে যারাই সহযোগিতা করবে জনগণ তাদেরকেও প্রত্যাখ্যান করবে।
প্রেস বিজ্ঞপিতে বলা হয়, সকল গুম ও খুনের বিচার ত্বরান্বিত করতে সরকারকে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অভ্যুত্থানের ছয়মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো খুনীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থাগুলো। আমরা শেখ হাসিনাসহ সকল পলাতক আসামীকে অবিলম্বে দেশের ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে, গতকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর আহমদ আলী কাসেমী, সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম-মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ও অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলমসহ অনেকে।
মন্তব্য করুন