বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে’ নাগরিক সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে খুনি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার আজ্ঞাবহ দোসররা এখনো সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। শুধু তাই নয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার সংস্কার বলে গণতন্ত্রকে ব্যাহত করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে।
এ সময় আহমেদ আযম খান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ যখন কোনো রাজনৈতিক নেতার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি তখন জাতির এই মহাসংকটে নিজের ও পরিবারের জীবন বিপন্ন করে একজন মেজর হয়েও যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন এবং অস্ত্র হাতে তুলে শত্রুর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। পরবর্তীকালে স্বৈরশাসক এরশাদ গণতন্ত্রকে হরণ করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন তখন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।
তিনি বলেন, বিগত স্বৈরশাসক ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা যখন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিগত ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পুনরায় এ দেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেন। গণতন্ত্রের প্রধান শর্ত জাতীয় নির্বাচন। অথচ আমরা দেখছি সরকার সেদিকে না হেঁটে নির্বাচন প্রক্রিয়া যাতে ব্যাহত হয় সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব, কোনো প্রকার সময়ক্ষেপণ না করে জনগণের প্রধান দাবি নির্বাচনের পথে অগ্রসর হওয়া এবং দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর হোসেন শামীমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদৌলাহ চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি ও সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের মহাসচিব হুমায়ুন কবির বেপারী, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধে প্রজন্মের সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক এম. আহমেদ খান মন্টু, জাগ্রত বাংলাদেশের সভাপতি সাংবাদিক মো. জহিরুল ইসলাম কলিম, প্রতিবাদের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, এস.এম কমর উদ্দিন, শোয়েব কোরাইশী, সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক আল আমিন বাদশা প্রমুখ।
মন্তব্য করুন