জুলাই আন্দোলনে গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ দেশের সব জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ৬৪ জেলায় এই কর্মসূচি পালন করবে গণঅধিকার পরিষদ।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবে তারা। এই তথ্য জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
আবু হানিফ জানান,আওয়ামী লীগ ও তার দোসর জুলাইয়ের গণহত্যায় নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্তু দায়িত্বশীল অনেকেই গণহত্যাকারীদের বিচারের বিষয়ে তৎপর নয়। আমরা সেই গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করব।
উল্লেখ্য, অবিলম্বে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করে জাতীয় সরকার গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
গত ২৫ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
নুরুল হক নুর বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মুখোমুখি অবস্থান চলমান থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত হবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে একমত হতে হবে সবাইকে।
অন্তর্বর্তী সরকার জন আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে ধাবিত হচ্ছে অভিযোগ করে এ সময় নুরুল হক নুর বলেন, গঠনের পর থেকে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে সরকারের উপদেষ্টারা। অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে পরিবর্তন এনে রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানান নুর।
মন্তব্য করুন