যতদিন জুলাই গণহত্যার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হবে, ততদিন আওয়ামী লীগের কোনো অপতৎপরতা জনগণ সহ্য করবে না বলে জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের নেতারা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতারা এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দলটির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, জুলাইসহ বিগত ১৫ বছরে অসংখ্য গুম-খুনের সাথে সুস্পষ্টভাবে জড়িত আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। হাজার হাজার নিরপরাধ ছাত্র-জনতাকে হত্যা, শত শত মানুষকে হত্যা ও পঙ্গু করেও দাম্ভিকতা প্রদর্শন করে যাচ্ছে খুনিরা। এই অপশক্তি দ্বারা দেশকে অস্থিতিশীল করার কোনো ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না।
এতে আরও বলা হয়- সম্প্রতি হিউম্যান রাইট্স ওয়াচের এক প্রতিবেদনে শেখ হাসিনা নিজেই গুম ও হত্যার সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। পলাতক খুনিরা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। খেলাফত মজলিশ জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করবে। ফ্যাসিবাদের বাহক আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে এই মুহূর্তে যারাই সহযোগিতা করবে জনগণ তাদেরকেও প্রত্যাখ্যান করবে। আমরা সকল খুনের বিচার কার্যক্রম অবিলম্বে শুরু করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। শেখ হাসিনাসহ সকল পলাতক আসামিকে অবিলম্বে দেশের ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।
মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, আহমদ আলী কাসেমী, আবদুল্লাহ ফরিদ, সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক, জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, আবদুল জলিল, মিজানুর রহমান, কাজী মিনহাজুল আলম, আমিনুর রহমান ফিরোজ, জহিরুল ইসলাম, আবদুল হাফিজ খসরু, শায়খুল ইসলাম, তাওহীদুল ইসলামা তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, মাওলানা আজিজুল হক, নুর হোসেন, সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবদুস সামাদ, নুরুল হক, আবুল হোসেন, ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, আমির আলী হাওলাদার, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, আজিজুল হক প্রমুখ।
মন্তব্য করুন