ইতোপূর্বে যারা বিভিন্ন কারণে বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়েছেন, অব্যাহতি পেয়েছেন এরা কেউ দলের সদস্যপদ নবায়ন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশব্যাপী জেলা ও মহানগর শাখায় সদস্য নবায়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি বিএনপির ‘প্রাথমিক সদস্য পদ নবায়ন’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেদিন তারেক রহমানসহ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সিনিয়র নেতারা সদস্য পদ নবায়ন করেন। এরপর গত সোমবার বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ নবায়ন কার্যক্রমের জন্য রুহুল কবির রিজভীকে আহ্বায়ক এবং কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, যারা বিভিন্ন কারণে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন, অব্যাহতি পেয়েছেন এরা কেউ নবায়ন করতে পারবেন না। যদিও তাদের সদস্যপদ ছিল। কিন্তু আমরা যখন বহিষ্কার করি তখন সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করি। এরা প্রাথমিক সদস্যপদ নিতে পারবেন না। নবায়নের উদ্দেশ্যটাই হচ্ছে- বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা শুনতে পাই, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী কীটপতঙ্গ নানাভাবে (বিএনপিতে) ঢোকার চেষ্টা করছে। এই কীটপতঙ্গরা যেন ঢুকতে না পারে এ ব্যাপারে শক্ত নির্দেশনা আমরা জেলাগুলোকে দিচ্ছি। আমরা প্রাইমারি মেম্বারশিপ রাইট (প্রাথমিক সদস্যপদ অধিকার) না দিয়ে শুধু যারা আগে থেকে (দলে) আছেন তাদেরই দিচ্ছি।
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ছোট ছোট ঘটনা অথবা ঘটনাও না এমন বিষয়গুলো নিয়ে বিএনপিকে নানাভাবে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা তো আছেনই। নানাদিক থেকে, প্রশাসন থেকে, পুলিশ থেকে এমনকি বিভিন্ন জায়গা থেকেই তারা কাজ করছেন। আমাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম যেন স্বচ্ছ রাখতে পারি (আওয়ামী) দোসররা যেন দলে ঢুকতে না পারেন, অপপ্রচার করতে না পারেন সেজন্য এই নবায়ন কার্যক্রমটা অনেকখানি গুরুত্বপূর্ণ।
গণঅভ্যুত্থানের ঐক্যে ফাটল প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, এই গণতান্ত্রিক ঐক্যের বিভেদ হোক এমন কিছু করছি না। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি এই বৃহৎ গণতান্ত্রিক ঐক্যের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে বেগবান করার। আমাদের আন্দোলনের বিজয় অনেক বড় শক্তি, অনেকেই এটা ভালো চোখে দেখে না। রাষ্ট্রের বাইরে থেকেও অনেক চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র আছে। রাষ্ট্রের ভেতর থেকেও আছে। (রাষ্ট্রের) ভেতরের থেকে যখন রাজনৈতিকভাবে চেষ্টা করে সেটা হয় সবচেয়ে বড় পরাজয়।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা খান রীতা, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মো. মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএ কবির জিন্নাহ, তারিকুল আলম তেনজিং প্রমুখ।
মন্তব্য করুন