শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গণঅধিকারের একাংশের নতুন নাম ‘আমজনতা দল’

কথা বলছেন মিয়া মশিউজ্জামান। ছবি : কালবেলা
কথা বলছেন মিয়া মশিউজ্জামান। ছবি : কালবেলা

আগ্রাসন বিরোধী লড়াই সুসংহত করতে গণঅধিকার পরিষদের একাংশ নাম বদল করে ‘আমজনতার দল’ নামে আত্মপ্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে পুরানা পল্টনে প্রতীম জামান টাওয়ারে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আত্মপ্রকাশ পাওয়া দলটির আহ্বায়ক মিয়া মশিউজ্জামান এ কথা ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, গণঅধিকার পরিষদ তার নাম পরিবর্তন করে এখন থেকে আমজনতা দল নামে পরিচিত হবে। এ পরিবর্তন আমাদের আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ের সাংগঠনিক রূপান্তরের প্রতীক এবং জনগণের সঙ্গে আরও সরাসরি সংযোগ স্থাপনের একটি নতুন প্রয়াস।

দোয়া করবেন যেন, আমজনতার দলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারি। আমরা যেন কখনই পিছপা না হই, সার্বভৌম ও সুশাসনের বাংলাদেশ নির্মাণে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে অবদান রাখতে পারি।

পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যায় আমজনতা দলের আহ্বায়ক বলেন, গণঅধিকার পরিষদ বেশ কিছু নৈতিক ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে দুই ভাগে বিভক্ত হয় ২০২৩ সালের ২০ জুন। কাছাকাছি দুই দলের একই নাম হওয়ায় আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও অনাকাঙ্ক্ষিত দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছিল।

আগ্রাসনবিরোধী লড়াইকে আরও সুসংহত ও বিস্তৃত করতে আমাদের পূর্বের সহযোদ্ধাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় এমন নাম পরিহার করতে আমরা পূর্বের নাম গণঅধিকার পরিষদের পরিবর্তন করে ‘আমজনতা দল’ নামকরণ করছি। আজ থেকে আমাদের মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের অংশের নাম ‘আমজনতার দল’ নামে পরিচিত হবে।

মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে আমাদের দলের ৭ সহযোদ্ধা জীবন দান করেছেন, শতাধিক আহত হয়েছেন। আমাদের দলটি অতীতে যেমন ছাত্র, যুবক, প্রবাসী, পেশাজীবী এবং পেশাজীবী নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পক্ষে কাজ করেছে, ভবিষ্যতেও একইভাবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।

আমজনতার দলের মূলনীতি তিনটি। এগুলো হচ্ছে- সার্বভৌমত্ব, স্বনির্ভর ও সুশাসন। দলটির স্লাগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্বনির্ভর অর্থনীতি ও সুশাসনে সমৃদ্ধি’।

২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। পরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন রেজা কিবরিয়া। একপর্যায়ে নুরুল হক নুর ও রাশেদ খানের নেতৃত্বে দলটির একাংশ এবং মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বে অপরাংশ গঠিত হয়।

নুরুল হক নূর ও মিয়া মশিউজ্জামানের দুই গণঅধিকার পরিষদ শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে যুগপৎভাবে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করে।

নূরের গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচন কমিশনেরও নিবন্ধন পেয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নরসিংদীতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউপি সদস্য আহত

চাপের মুখে হাতকড়া পরলেন সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

রাজবাড়ী জেলা বারের সভাপতি বাচ্চু, সম্পাদক রাজ্জাক

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নামে মিয়ানমারের ভিডিও প্রচার

মেঘনা নদীতে দুগ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ২

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন

বনের জমি উদ্ধার করতে গিয়ে আহত ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী

ভারতে পাচার ১৬ কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোলে হস্তান্তর

গাউসুল আজম মার্কেটে অস্থিরতার চেষ্টা, অভিযোগ ব্যবসায়ীদের

বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানাল র‍্যাব

১০

অসম্মান-মানসিক চাপে বিদ্রোহের সুর, কাঁদলেন নারী ফুটবলাররা

১১

আন্দোলনের মুখে পঞ্চগড়ের চার বিচারকের বদলি

১২

ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন করতে কমিটি

১৩

জায়গার মালিকানা নিয়ে হামলা, নারীসহ আহত ৫

১৪

জমি নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫

১৫

কবরস্থানের সীমানা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১

১৬

বাংলাদেশে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের 

১৭

শরিফুলের আগুন বোলিংয়ে চিটাগাংয়ের বড় জয়

১৮

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার অজানা তথ্য জানালেন ড. ইউনূস

১৯

পালানোর সময় বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা

২০
X