‘আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার শক্তি নয়, তারা পলাতক শক্তি’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতার ঊষালগ্নে যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখনো তারা পালিয়ে গিয়েছিল এবং ২৪-এর আন্দোলনেও তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ভোলা জেলার চরফ্যাশনবাসীর পক্ষ থেকে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করলে পালিয়ে যেতে হয়। সেটা আমরা স্বৈরাচার হাসিনাকে দেখে শিখেছি। গত সংসদ অর্ধেক দখলে ছিল শেখ পরিবারের।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল। তারা যে সংস্কারের কথা বলছেন, এটা বিএনপির ইচ্ছার বাইরে নয়। বিএনপি তো আগেই ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সংস্কার অবশ্যই বিএনপি চায়।
সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে যুবদলের এ নেতা বলেন, সংস্কার যুগের পর যুগ চলতে থাকবে। নির্বাচিত সরকার এলেই দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরে পরিপূর্ণভাবে সংস্কার হবে। দেশে পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নয়ন বলেন, আপনারা যেভাবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, ঠিক সেভাবে এখন জনগণের পাশে দাঁড়ান, জনকল্যাণমুখী কাজে অংশগ্রহণ করুন। বিএনপি বাংলাদেশের জনগণের দল, বিএনপির মূল শক্তি জনগণ।
নয়ন বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ও দেশের জনগণের চাহিদা মেটাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। বিএনপির ৩১ দফা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে মানবিক বাংলাদেশ, স্বচ্ছ বাংলাদেশ এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠিত হবে।
যুবদলের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়েছে একটি নিরপেক্ষ সরকার হিসেবে। আমরাও সমর্থন দিয়েছি একটি নিরপেক্ষ সরকার হিসেবে। কিন্তু জনগণ সেই নিরপেক্ষতা দেখতে পাচ্ছে না।
বাংলাদেশের মানুষ গত ১৫ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি উল্লেখ করে নুরুল ইসলাম আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়েছে নিরপেক্ষভাবে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে। বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। যে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার আমাদের ভাইদের গুম, খুন ও হত্যা করেছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আমাদের বহু ছাত্র ভাই এবং সাধারণ মানুষ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যা করেছে। এরপরও এই আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন