বিচারপ্রক্রিয়া ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় কেউ যদি বাধা দিতে চায়, তাদের পরিণতি হবে শেখ হাসিনার মতো। এ জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সবাইকে আবারও প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
তিনি বলেন, ৭২-এর সংবিধান দিয়ে এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র সম্ভব নয়। তাই গণপরিষদের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদবিরোধী সংবিধান প্রয়োজন।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মার্চ ফর ইউনিটি অ্যান্ড জাস্টিস শিরোনামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিবাদ সমাবেশে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, দেশের সংকট সমাধানে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণপরিষদ নির্বাচনের দিকে হাঁটতে হবে। গণপরিষদ নির্বাচনে যে সংবিধান তৈরি হবে, সেখানে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে যেসব শ্রমিক শহীদ হয়েছেন তাদের কথা থাকতে হবে। মায়েদের কথা, নারীদের কথা থাকতে হবে।
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোদ্ধা, পাহাড়ের সহযোদ্ধা, সমতলের সহযোদ্ধা, আসুন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। মুজিববাদের একদলীয় সংবিধান থেকে বের হয়ে আমরা বহুদলীয় সংবিধানের দিকে যাত্রা করি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বীকৃতি ও আন্দোলন দমনে সংঘটিত হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে এ সমাবেশ করছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে ছাত্রনেতারা তাদের বক্তব্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।
এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভার্স্কাস সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে জুলাই বিপ্লবীদের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সমাবেশের আয়োজন করেন হামলার শিকার হওয়া শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে রমনা থানাকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এ সময় উপস্তিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি) মো. শাকিল, তেজগাঁও কলেজের প্রতিনিধি আলামিন তালুকদার, শেখ বোরহাউদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের তারেক আজিজ, হামলার শিকার মাসুদ, রাবেয়া, ইমরানসহ অনেকেই।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলামোটর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মারামারিতে আটজন আহত হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এক দিন পর রমনা থানায় মামলা করতে গেলে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের নিষেধের কারণে মামলা না করে অভিযোগ দিয়ে চলে আসেন হামলার শিকার ওই ব্যক্তিরা।
মন্তব্য করুন