ঢাকসু'র সাবেক ভিপি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, বিদ্যমান রাষ্ট্রযন্ত্রের দমনমূলক কাঠামোটিকে বদল করার জন্য অংশীদারিত্বমূলক রাজনৈতিকব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সংগঠকদের অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তব্য প্রদান করার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সভায় স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতায় বিকশিত সমাজশক্তির, রাজনৈতিক ভূমিকা পালনে সাংবিধানিক অধিকার প্রদান করলে জাতীয় রাজনীতিতে যে-সৃজনশীল শক্তির উত্থান ঘটবে, তাতে ফ্যাসিবাদ আর ক্ষমতায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না।
ফ্যাসিবাদ করায়ত্ব রাষ্ট্রযন্ত্রটি গণমানুষের সংগ্রামকে প্রতিহত করতে দমনমূলক চরিত্র গ্রহণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে ক্রমাগতভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে রূপান্তর হয়। সুতরাং গণতন্ত্রকে হত্যা করার বিপরীতে জনগণের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব ভিত্তিক এক নতুন ধরনের রাষ্ট্রশক্তি গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অংশীদারিত্বের গণতন্ত্রে জনগণের সক্রিয় ও ব্যাপক, প্রত্যক্ষ ও বিপুল অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সুতরাং রাষ্ট্রক্ষমতায় সমাজশক্তির অংশীদারিত্ব ছাড়া কোনো সংস্কার ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না।
সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতায় নতুন রাষ্ট্রশক্তির উত্থান অর্থাৎ রাজনৈতিক দলের সাথে শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের ক্ষমতার অংশীদারিত্ব দিলেই ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থা অবলুপ্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, জেএসডির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে বিকশিত সমাজ শক্তিগুলোকে ক্ষমতার অংশীদার করা। ভবিষ্যতে এই শক্তিই রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণকর্তা হবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, এডভোকেট কে এম জাবির, মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, এডভোকেট ফাতেমা হেনা, এডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, মোশাররফ হোসেন, আবদুল্লাহ আল তারেক, এস এম শামসুল আলম নিক্সন, মোশাররফ হোসেন মন্টু, আবদুল মান্নান মুন্সি, বোরহান উদ্দিন চৌধুরী রোমান, সুমন খান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন