বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আগ্রাসন প্রতিরোধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে : শেখ বাবলু

বক্তব্য রাখছেন শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। ছবি : কালবেলা
বক্তব্য রাখছেন শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। ছবি : কালবেলা

সীমান্তে আগ্রাসন ও নিরীহ বাংলাদেশি মানুষকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেছেন, অতিসম্প্রতি লালমনিরহাট সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে বিজিবির সঙ্গে স্থানীয় মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে বিএসএফ পিছু হটে। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া বারবার আগ্রাসী তৎপরতা চালায়। তাই এই আগ্রাসন বন্ধে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই।

মওলানা ভাসানীর স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব গণসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং নতুন করে আরোপিত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, আপনারা বাজার নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হোন। ফ্যাসিস্টদের দোসররা এখনও বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। আপনারা এখনো সিন্ডিকেট ভাঙার দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি। নিত্যপণ্যের দাম কমানোর কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নিয়ে উপরন্তু নতুন করে ভ্যাট ও শুল্ক আরোপ সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। অবিলম্বে নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন বাঁচান। নিত্যপণ্যের অব্যাহত মূল্য বৃদ্ধিতে গরিব-অসহায় মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে জীবনযাপন করছে।

তিনি বলেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন ছিল অতি সাধারণ, নিরবে-নিভৃতে। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার তাকে উপযুক্ত মর্যাদায় বরণ করেনি। তারা মওলানা ভাসানীর সংগ্রামী ইতিহাসকে আড়াল করার চেষ্টা করলেও ইতিহাস তার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে। আজ তিনি সকল মহলে বরণীয়, নতুন প্রজন্ম মওলানা ভাসানীকে নিয়ে ভাবে ও অধ্যয়ন করে।

গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম এই শীর্ষ নেতা দাবি করেন, একমাত্র মওলানা ভাসানীর আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল বিশ্বাস, জামিল আহমেদ, নুরুজ্জামান হীরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, নারী নেত্রী সুমিয়া আক্তার, ছাত্রনেতা মোশারফ হোসেনসহ পরিষদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। সমাবেশ শেষে প্রেস ক্লাব ও এর আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মার্চের মধ্যে বাংলাদেশ সফরে আসবেন ফিফা প্রধান

সিকৃবির ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

পুরোহিতের বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট ও জমি দখলের অভিযোগ

তিন মাসে কিছুই করা সম্ভব নয় : শিক্ষা উপদেষ্টা

ক্রিপ্টো কারেন্সিকে জাকাতের অন্তর্ভুক্ত করল মালয়েশিয়া

এনআইএসটির নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও পুরস্কার বিতরণ

বিএনপির ইউনিয়ন অফিস ভাঙচুর

‘আগামী ২০ বছর রাজনীতিতে তরুণরা প্রভাব ফেলবে’

খুলনাকে হারিয়ে প্লে-অফের কাছে বরিশাল

বিদায় অনুষ্ঠানে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটাল বহিষ্কৃতরা

১০

আ.লীগকে তৃতীয়বার গণহত্যার সুযোগ দেওয়া হবে না : রাশেদ খান

১১

বিএনপি নেতারা শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিল : জুয়েল

১২

জাবির হলে লুকিয়ে থাকা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৩

বিএনপি নেতা তানভীর ও সাইফুলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৪

দাভোসে বৈঠকে তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা / বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ উপযুক্ত স্থান

১৫

সিঙ্গাপুর গেলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ

১৬

আগুনের গুজবে যাত্রীদের ঝাঁপ, কাটা পড়ে নিহত ১২

১৭

শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত

১৮

ঢাবি শিবিরের কমিটি ঘোষণা

১৯

চুরি যাওয়া অর্থ ফেরাতে বিশ্বনেতাদের সহায়তা চাইলেন ড. ইউনূস

২০
X