বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান জাতি আজীবন স্মরণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে লেবার পার্টির উদ্যোগে এ কর্মসূচি হয়।
লায়ন ফারুক রহমান বলেন, অসাধারণ দেশপ্রেমিক, অসম সাহসিকতা, সততা-নিষ্ঠা ও সহজ-সরল ব্যক্তিত্বের প্রতীক জিয়াউর রহমানের অবদান অসামান্য। তিনি শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি, রণাঙ্গনে যুদ্ধও করেছেন। বিশ্ব মানচিত্রে তিনি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের ব্যাপকভাবে পরিচিত করিয়েছেন স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যে। জাতির মর্যাদাকেও বিশ্বব্যাপী সমুন্নত করেছেন তার শাসনামলে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের সৈনিক ও রাজনৈতিক জীবনের সততা, নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রম দেশের মানুষ শ্রদ্ধাভরে এখনো স্মরণ করে। একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক হিসেবেও তার পরিচিতি সর্বজনবিদিত। সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন ও দিকনির্দেশনা।
১২ দলীয় জোটের এই শীর্ষ নেতা বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে আমৃত্যু চেষ্টা চালিয়েছেন। জাতির মধ্যে একটি নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে তাদের জাগিয়ে তুলতে তিনি সফল হয়েছিলেন।
তার স্বল্পকালীন শাসনকার্য পরিচালনায় তিনি যে গভীর দেশপ্রেম, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন- তা আজও কেউ অতিক্রম করতে পারেনি। এমনকি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক বিরোধীরাও মৃত্যুর পর তার সততা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেনি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ কারণেই এ দেশের জনগণের অন্তরে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। তার অবদান জাতি আজীবন স্মরণ করবে।
লেবার পার্টির দলীয় মুখপাত্র মো. শরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তর লেবার পার্টির সভাপতি মাইদুল ইসলাম আসাদ প্রমুখ।
পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
মন্তব্য করুন