বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছে হাসিনার মতো স্বৈরাচার সরকার আর যাতে আসতে না পারে। কতটুকু উদার হলে ৩১ দফায় তিনি বলেছেন, দু’বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।
শিক্ষক, ডাক্তাররাও যাতে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে সেজন্য বিশিষ্ট সংসদ করা হবে। বেকারদের জন্য বেকার ভাতা চালু করবেন।
নির্বাচনী এলাকা হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন আয়োজিত বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়োনের লক্ষ্যে গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজিতে জড়ালে সাংগঠনিক ব্যবস্থাসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ যতবার সংকটে পড়েছে, জিয়া পরিবারই উদ্ধার করেছে। জিয়া পরিবার বাংলাদেশিদের কাছে সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা লোভী ছিলেন না, যুদ্ধ করে ক্যান্টনমেন্টে ফিরে গিয়েছিলেন। ’৭৫ সালে ৭ নভেম্বর জাতির ক্লান্তিকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হাল ধরেন। ‘৯০-এর গণঅভ্যুত্থান এরশাদের পতনের নেতৃত্ব দেন তারই সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া। ২০২৪ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা পতনে নেতৃত্ব দেন শহীদ জিয়ার সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমান।
ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রহমতুল্লাহ মেম্বারের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাসাসের সভাপতি এবং ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুল ইসলাম টুটুলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ব্যারিস্টার মীর মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ সৈয়দ আজম উদ্দিন।
এতে অন্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ নূর মোহাম্মদ, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ জাকের হোসেন, হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. গিয়াসউদ্দিন চেয়ারম্যান, হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. রফিকুল আলম চৌধুরী, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব মো. অহিদুল আলম, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ শুক্কুর কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি নেতা এস এম ফারুক, উপজেলা বিএনপির সি. সদস্য হাকিম উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল আলম জনি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন আনোয়ার হোসাইন উজ্জ্বল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শাহনেওয়াজ কবির, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. তকিবুল হাসান চৌধুরী তকি, হাটহাজারী উপজেলা কৃষক দল নেতা মো. শাহাদাত হোসেন চেয়ারম্যান, সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরী রনি, জেলা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু তৈয়ব জুলুস, হাটহাজারী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. ফখরুল হাসান, সদস্য সচিব মো. নুরুল কবির তালুকদার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জিএম সাইফুল ইসলাম, হাটহাজারী উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. এমরান চৌধুরী, হাটহাজারী পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম চৌধুরী রকি, সদস্য সচিব মো. শাহেদ খাঁন, ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি নেতাদের মধ্যে নাসির উদ্দিন খোকন, নুরুল ইসলাম, সরোয়ার ইসলাম সুমন,জসিম উদ্দিন তালুকদার, সেলিম জাহাঙ্গীর, মান্নান কোম্পানি, ইউসুফ টিপু ,এরশাদ শিকদার, ইসলাম কোম্পানি, সেকান্দর আলী, জাহেদুল ইসলাম যুবদল নেতাদের মধ্যে হান্নান তালুকদার জামাল আল দীন,জাবেদ মন্দাকিনী, আবু বক্কর, মো শাহজাহান, কাজী মহসিন, সাব্বির হোসেন নয়ন, মো. ইব্রাহিম, আলমগীর রানা, মো. মামুন হাসান, ইকরাজ নেওয়াজ খসরু, আলফাজ, শাকিব, জুলফিকার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন