শহীদ জিয়া ছিলেন জাতীয় ঐক্যের প্রতীক উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেছেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনের প্রবক্তা ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ আয়োজিত বাজিতপুর আদালত প্রাঙ্গণে বটতলা মাঠে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাজিতপুর উপজেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি মোজাম্মেল হক।
সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, বাংলাদেশের দুটি ক্রান্তিলগ্নে শহীদ জিয়া ধুমকেতুর মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাক হানাদার বাহিনীর আক্রমণের পর শহীদ জিয়া প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করে ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলার আলোর দিশারী। ঠিক তেমনি মুক্তিযুদ্ধের সব চেতনাকে যখন হত্যা করে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয় তখন সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আবারও কক্ষচ্যুত বাংলাদেশকে কক্ষপথে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
এ ছাড়া তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সব নাগরিককে এক ছাতার নিচে আনার কালজয়ী দর্শন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের ঐক্য, সংহতিকে সুসংহত করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অখণ্ডতা প্রশ্নে আপসহীন জিয়ার নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের নীল নকশা বাস্তবায়নের কাঁটা ভেবে জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু তার এই আত্মত্যাগে জনগণের মধ্যে গড়ে ওঠে দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে এক ইস্পাত কঠিন গণঐক্য। তিনি আরও বলেন, দেশ আবারও গভীর সংকটের মুখোমুখি। দেশের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে সব জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে আদর্শ শক্তিকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ৫ আগস্ট দেশের জনগণ যেভাবে দৃঢ়চিত্তে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে উৎখাত করেছিল সেই ঐক্য ধরে রেখেই আমাদের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে কার্যকর রাখার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- কিশোরগঞ্জ জেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি জীবন চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সহসভাপতি শাহ আলমসহ কিশোরগঞ্জ ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
মন্তব্য করুন