গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, বাংলাদেশে যেন নব্য কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম না হয় সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার মোড়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ডেমরা থানার উদ্যোগে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এ কথা বলেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
আবু হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে গত ১৫ বছর লুটপাট, দখলদারি, চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করেছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনের মুখে তাদের মসনদ ভেঙে গেছে। আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। কিন্তু তাদের সেই দখলদারি, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, শুধু হাত বদল হয়েছে।
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যেখানেই চাঁদাবাজ, দখলদার পাবেন গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। বাংলাদেশে যেন নব্য কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম না হয় সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আবু হানিফ বলেন, আজ (১৮ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের নেত্রী খুনি শেখ হাসিনা হরতালের ডাক দিয়েছিল, কিন্তু রাস্তায় নামার সাহস পায়নি। আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে যে দুঃশাসন কায়েম করেছিল, তার প্রতিবাদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে পঙ্গু, সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আবু হানিফ আরও বলেন, সীমান্তে যে উত্তেজনা তা ভারত পরিকল্পিতভাবে করছে। ভারত মূলত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। ভারতকে আগের চিন্তা বাদ দিতে হবে। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে দেবে না। ভারতের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে তাদের সঙ্গে যে বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে, সেই চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে যেন বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আরও বলেন, ২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে। আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়েছিল এমন অনেক আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য ও বিএনপির নামধারী কিছু নেতারা আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে গণহত্যার মামলার আসামিদের রক্ষা করছে। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, আপনারা গণহত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করুন।
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন বলেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে কেউ কেউ পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। আমরা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে দেব না। আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ কায়েম হবে না বাংলাদেশে। তরুণদের সঙ্গে নিয়ে আমরা চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের সহ-অর্থ সম্পাদক নুরুল আমিন খোকন, ডেমরা থানা গণঅধিকার পরিষদের নেতা বশির আহমেদ, শাহজালাল, মিল্টন, মহিলা নেত্রী নুপুর প্রমুখ।
মন্তব্য করুন