শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হাসান মাহমুদ পরিবারের ৭৭ ব্যাংক হিসাব জব্দ

হাসান মাহমুদ। ছবি : সংগৃহীত
হাসান মাহমুদ। ছবি : সংগৃহীত

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদসহ তাদের ৫ প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৭৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবগুলোতে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এসময় দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক কমলেশ মন্ডল এসব হিসাব অবরুদ্ধের জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালতে দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে হাসান মাহমুদের নামে ৮টি, নুরান ফাতেমার ১৪ টি, নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের ৬টি, হাসান মাহমুদ ও স্ত্রীর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ৩টি, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের ৩৪টি, মিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড হোল্ডিংস ৬টি, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেড ৩টি, সুখী বাংলা ফাউন্ডেশনের ২টি ও বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জেএএস লিমিটেডের ১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

হিসাব অবরুদ্ধের আবেদনে বলা হয়, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস লিমিটিড, একাডেমি অব মেরিন এডুকেশন অ্যান্য টেকনোলজি লিমিটেড, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জে.এ.এস. লিমিটেড, এম/এস বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেড এবং সুখী বাংলা ফাউন্ডেশনের নামে ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৭৫৩ কোটি ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৯ টাকা লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেনগুলো সন্দেহজনক লেনদেন।

এই লেনদেনগুলো মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সংগঠিত হয়েছে। যেখানে মানিলন্ডারিং উপাদান থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এ ছাড়া বর্তমানে হিসাবগুলোতে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকার স্থিতি (জমা) আছে।

দুদক অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে হাছান মাহমুদসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের ব্যাংকে রক্ষিত টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন।

অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত এসব সম্পদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৭ ধারা মতে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত এসব সম্পদ মানিলন্ডারিং আইনের ১৪ ধারা মতে উত্তোলন, হস্তান্তর বা মালিকানাস্বত্ব বদল রোধে জব্দ করা প্রয়োজন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফসলি জমির মাটি কাটায় ৭ লাখ টাকা জরিমানা

সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : মনিরুল হক চৌধুরী

চবি আবৃত্তি সংসদের কর্মশালা উদ্বোধন

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি আটক

এবিসি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন  / সভাপতি জাফরী, মহাসচিব দেবাশীষ

৭ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হামলার শিকার প্রধান শিক্ষক

ভবন নির্মাণে পরিবেশের ক্ষতি হলে উচ্ছেদ করবে রাজউক

বিপিএলে চট্টগ্রাম কিংসের দাপুটে জয়

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নতুন সিদ্ধান্তে ইন্দোনেশিয়া

১০

সালানা জলসা বন্ধ করার আহ্বান খতমে নবুওয়তের

১১

জামালপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১২

গাজাকে পুনর্গঠন করতে সব কিছু করবে তুরস্ক

১৩

১৭ বছর পর মুক্ত বাবর, উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী

১৪

‘আগে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করতে হবে’

১৫

তীব্র তাপদাহ বিবেচনা করে হজের প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি

১৬

জবি দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর, বিজ্ঞপ্তি জারি 

১৭

যৌথবাহিনীর অভিযানে অপহৃত ৭ কৃষক উদ্ধার

১৮

‘বাবরকে ৬ বছর কনডেম সেলে রাখা হয়’

১৯

আসামি ধরতে গিয়ে আগুনে পুড়ে এসআইয়ের মৃত্যু

২০
X