বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, পতিত আওয়ামী সরকার গণতন্ত্র ও নির্বাচন আয়োজনের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে বাংলাদেশ লেবার পার্টির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, স্বৈরাচারের পতনের পর গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার যোগ্য মানুষের কাছে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছি। আশা করছি, তারা জনগণের দুর্ভোগ কমানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়েও পদক্ষেপ নেবেন।
নিত্যপণ্যের ওপরে ভ্যাট বসানো নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমে দেখেছি একটি বিশেষ প্রেক্ষিতে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা বলব, জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের যে সিদ্ধান্ত জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়, সে সরকার জনপ্রিয় থাকতে পারে না। কিন্তু আমরা এই সরকারকে জনপ্রিয় দেখতে চাই। সরকার জনপ্রিয়তা হারালে পতিত আওয়ামী সরকারের দোসররা খুশি হবে। আমরা আশা করি, সরকার এমন সিদ্ধান্ত নেবে না, যেখানে সরকার জনপ্রিয়তা হারায়।
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাঁটাতার দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমরা কখনো চাই না পাশের দেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হোক। আমাদের প্রত্যাশা, তারা এমন কিছু করবে না, যেখানে আমাদের জনগণের স্বার্থ-মর্যাদা স্বীকৃতি পাবে না। তাদের নিরাপত্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিক, তবে সে বেড়ায় ফেলানীর মতো কেউ ঝুলে থাকবে সেটা আমরা চাই না। সীমান্তে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুই দেশের মতামতের ভিত্তিতে তা নেওয়া প্রয়োজন।
বৈঠক শেষে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। মানুষ চায়, আমরা তাদের পাশে দাঁড়াই। এই লক্ষ্যে আজ আমরা বিএনপিকে কিছু কর্মসূচির কথা জানিয়েছি। তারা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। শিগগিরই আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করব।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে লেবার পার্টির আট নেতা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন