স্বৈরাচারী শক্তির সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ থাকলে অতীতে পারেনি, ভবিষ্যতেও কোনো ষড়যন্ত্রকারী বিএনপির কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ভাষানটেক ৩ নম্বর মোড় বিআরপি কমপ্লেক্স মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর ভাষানটেক থানা বিএনপির কর্মিসভা ও রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের জুলুম অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা সহ্য করেছে। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার বহুভাবে ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করেছে, কিন্তু কোনো চেষ্টাই তাদের সফল হয়নি। কারণ বিএনপি এ দেশের গণমানুষের দল। বিএনপির নেতাকর্মীরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে কাজ করে।
বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে কিন্তু এখনো পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশের সব ক্ষমতার উৎস হচ্ছে এ দেশের জনগণ। এই জনগণকে নিয়েই আমাদের পথচলা, আমাদের স্বপ্ন।
সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে গত ১৭ বছরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে উদ্ধার করতে, রাষ্ট্রকে পুনর্গঠন সংস্কার করার জন্য, বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে, জনগণের অধিকার তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এবং একটি মানবিক বাংলাদেশ গঠন করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার রূপরেখা দিয়েছেন। সেই ৩১ দফার রূপরেখা নিয়ে ইতোমধ্যে বিভাগীয় জেলা ও থানা পর্যায়ে আমরা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।
একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপি কাজ করবে বলেও আমিনুল হক তার বক্তব্যে যোগ করেন।
বাংলাদেশ একটি গণতন্ত্রকামী দেশ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সংস্কার তখনই পরিপূর্ণ করা যাবে, যখন দেশে একটা নির্বাচিত সরকার আসবে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া পরিপূর্ণভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার সম্ভব নয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে আমিনুল বলেন, আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখছি, এখনো বিভিন্ন কাজের অনুমোদন ও কাজ বরাদ্দবাবদ ঘুষ নেওয়া হচ্ছে। আমরা স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে এটা দেখতে চাই না। আমরা চাই প্রতিটি কাজ নিরপেক্ষভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রত্যেককে বুঝিয়ে দেওয়া হোক।
দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে কিন্তু তাদের প্রেতাত্মারা এখনো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে ঘুষের প্রথা অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, আজও একটি পত্রিকায় রিপোর্ট দেখলাম কৃষকদের কীটনাশকের অনুমোদন ও বরাদ্দের জন্য ঘুষ নেওয়া হচ্ছে। এই ঘুষ বাংলাদেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। ঘুষ আওয়ামী স্বৈরাচারের তৈরি করা একটা প্রসেস।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন ও প্রধান বক্তা ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মোস্তফা জামান।
ভাষানটেক থানা বিএনপির আহ্বায়ক কাদির মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, ঢাকা মহানগর সদস্য মাহবুবুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মো. আক্তার হোসেন, আতাউর রহমান, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, আফাজ উদ্দন,হাজী মো. ইউসুফ, শাহ আলম, মাহাবুবুল আলম মন্টু, মহানগর উত্তর এর সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আলী আকবর আলী,শফিকুল ইসলাম শাহীন, রেজাউর রহমান ফাহিম,আবুল হোসেন আব্দুল, আশরাফুজ্জাহান জাহান, শামীম পারভেজ, মাহাবুব আলম ভূঁইয়া শাহিন, ফারুক হোসাইন ভূইয়া, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, নাসির উদ্দিন, মোতালেব হোসেন রতন, রফিকুল ইসলাম খান, এম এস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল,জাহেদ পারভেজ চৌধুরী,তাসলিমা রিতা ছাড়াও জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তর এর আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম স্বপন, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক মহসীন সিদ্দিকী রনি, কৃষকদল ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান মিঠু, উত্তর মহিলাদল সদস্যসচিব এ্যাড রুনা লায়লা, তাতীদল উত্তর এর আহ্বায়ক শামসুন্নাহার বেগম, জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন আনু, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিম এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসান রাজ, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন সোহেল।
এ ছাড়া খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক সিএম আনোয়ার হোসেন, কাফরুল থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির দেওয়ান জনি, কাফরুল থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রাব্বি, সদস্য ওয়াহিদ আলম, দক্ষিণখান থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন,ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শফিকুর রহমান রতন, বিমানবন্দর থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তারেক, যুগ্ম আহ্বায়ক মন্জুর হোসেন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ আহমেদ খান, বিমানবন্দর সাংগঠনিক ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুর রউফ সাধারণ সম্পাদক রানা হোসেন রুবেল, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপি আহ্বায়ক শাহ আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল হক, এসআই টুটুল,নজরুল ইসলাম খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এফ ইসলাম চন্দন, তুরাগ থানা বিএনপি যুগ্মআহবায়ক হারুনুর রশিদ খোকা, হাজী জহিরুল ইসলাম, মো. চান মিয়া, পল্লবী থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মোকছেদুর রহমান আবির, ভাষানটেক থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম রেজা, মোহাম্মদপুর থানা ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ ওসমান গনী সেন্টু, ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন