আল্লামা মামুনুল হককে আমির এবং মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদকে মহাসচিব করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ২০২৫-২৬ সেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) দিনব্যাপী রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার শেষ অধিবেশনে এ কমিটি গঠন করা হয়। আমিরে মজলিশ শায়খুল হাদিস আল্লামা ইসমাইল নূরপুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরীকে অভিভাবক পরিষদের চেয়ারম্যান করা হয়। অভিভাবক পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আকরাম আলী, মুফতি হিফজুর রহমান, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা ফরিদ আহমদ খান, মাওলানা ফরিদ আহমদ, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন আদীব।
কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য দায়িত্বশীলরা হলেন- নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা আফজালুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মাওলানা আলী উসমান, মুফতী সাঈদ নূর, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা হেলালুদ্দীন, মাওলানা শাহীনুর পাশা, মাওলানা কোরবান আরী কাসেমী, মাওলানা মাহবুবুল হক, মাওলানা হোসাইন হাবীবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা আব্দুল আজীজ, মুফতী শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মুফতি ওজায়ের আমিন, মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ, মাওলানা মুহসিনুল হাসান, মাওলানা ফয়েজ আহমদ, মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ হাদী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা রেজাউল হক, মাওলানা সামিউর রহমান মুসা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভুঁইয়া, অফিস সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন খান, আইন বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শরীফ হোসাইন, সহকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাঈদ, নির্বাহী সদস্য মাওলানা এনামুল হক নূর, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা মুশাহিদুর রহমান, মুফতী হাবীবুর রহমান, মাওলানা জসিম উদ্দীন, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মুফতি হাবীবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা আব্দুন নুর, মাওলানা সাব্বির আহমদ উসমানী, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা মুহসিন উদ্দীন বেলালী, মাওলানা আব্দুল মুমিন, মাওলানা মামুনুর রশীদ, মাওলানা লিয়াকত হোসাইন, মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকার, মুফতি আজিজুল হক, হাফেজ শহীদুল ইসলাম, মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ, মওলানা আনোয়ার মাহমুদ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা রেজাউল করিম।
শূরায় শাখা রিপোর্ট, কেন্দ্রীয় রিপোর্টসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত ছিল। সংবিধানে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা-বিশ্বাস পুনঃস্থাপন ও ইসলাম বিরোধী সকল নীতিমালা অকার্যকর হওয়ার ধারা সংবিধানে অর্ন্তভূক্তকরণ, আল্লাহ, রাসূল সা. ও ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান পাশ, আলেম-উলামা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা কর্তৃক ট্রানজিটসহ দেশ বিরোধী সকল চুক্তি বাতিল, ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম হত্যা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ, কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা, পাঠ্যপুস্তক থেকে শিরকি ও কুফরি পাঠ বাতিল, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, সকল সংস্কার কমিশনে ইসলামি স্কলার ও আলেম উলামাদের সম্পৃক্ত করণ, অংশগ্রহণকারী দলসমূহকে তাদের প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে আসন প্রদান, রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে রাজপথে গড়ে উঠা ঐক্যকে আরও সুদৃঢ় করণ, খেলাফত প্রতিষ্ঠার আহ্বানসহ ১৩ দফা প্রস্তাব পাশ করা হয়।
মন্তব্য করুন