ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেছেন, ’৭১-এর পরাজিত শক্তিরাই আমাদের স্বাধীনতাকে-মুক্তিযুদ্ধকে মুছে ফেলে দিতে চায়। আমরা সেদিন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য। আমাদের লড়াই-সংগ্রাম ও আত্মদানের মাধ্যমেই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। এখন সেই বাংলাদেশকে নিয়ে, ’৭১-কে নিয়ে বহু রকমের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে থাকা পর্যন্ত একাত্তরকে মুছতে দিবে না।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধই জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অহংকার’- শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি আজ বলে তারা দেশপ্রেমিক। তাহলে আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশপ্রেমিক না। আজকে এই সভায় বলছি, আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে থাকতে, আপনারা একাত্তরকে মুছে ফেলতে পারবেন না, আমরা তা হতে দিব না। একাত্তরকে যারা মুছে ফেলতে চায়, তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। আজকে আপনারা যাদের জন্য রাজনীতির মাঠে সুযোগ পেয়েছেন, তাদেরকে ভুলে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ একবারই হয়েছে। আমরা একাত্তরে রক্ত দিয়েছি। এইবার স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার হটানোর আন্দোলনে আমি নিজে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলাম, তবুও আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম থেমে থাকেনি। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনকেই আমরা অস্বীকার করি না। তবে একাত্তরকে বাদ দিয়ে কোনো কিছুই হতে পারে না। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের স্বীকার করে নিতেই হবে। এ ছাড়া অতীতের ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনকেও মেনে নিতে হবে। আসুন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে একসাথে কাজ করি, জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন