খেলাফত মজলিস জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে ভারত বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী পরিষদের সভায় এসব কথা জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
সংগঠনটির নেতারা দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এখনো হুমকির সম্মুখীন। আধিপত্যবাধী ও তাদের দোসর বিতাড়িত ফ্যাসিস্ট অপশক্তি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে উসকানি দিয়ে ভূমি দখলের পাঁয়তারা করছে। তাদের কয়েকটি মিডিয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো তথ্যসন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে ভারত বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সাম্প্রতিক টুইট বার্তায় বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু ইস্যুতে নাক গলিয়েছেন। আমাদের পূর্ব সীমান্তের মায়ানমার অস্থিতিশীল। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। দেশে বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম চলমান।
তারা বলেন, এমতাবস্থায় দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য আরও সুসংহত করতে হবে। সকল পক্ষকে সহনশীল আচরণ প্রদর্শণ করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানে সকল দেশপ্রেমিক দল ও মতের অংশগ্রহণের স্বীকৃতি দিয়ে বিপ্লোবত্তর দেশ পুনর্গঠনে সবার আত্মনিয়োগ করা দরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক বিভেদ দেশবিরোধী অপশক্তির রসদ যোগান দিবে, ফ্যাসিবাদকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট লালন করে এই মুহূর্তে খেলাফত মজলিস ‘বিভেদ নয় ঐক্য - কল্যাণমূলক রাষ্ট্র’ গঠনের কাজ করে যাচ্ছে। অভ্যুত্থানের সুফল দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে ময়দানে তৎপর রয়েছে।
সংগঠনের নেতারা আরও বলেন, শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদেরকে আইনের হাতে সোপর্দ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে আমরা সরকারের প্রতি আবারও জোর দাবি জানাচ্ছি। মূল্যস্ফীতি ও টাকার অবমূল্যায়ন কমিয়ে আনার জন্য যথাযথ উদ্যোগ কামনা করছি। শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসনসহ দেশের সামর্থবান সকলের প্রতি আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় নির্বাহী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মিজানুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জহিরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, আলহাজ ফয়জুল ইসলাম, অ্যাড. শায়খুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, আলহাজ নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন