শেখ হাসিনাকে ‘গণহত্যাকারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তার ভারতীয় ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি বাংলাদেশের জনগণ ভালোভাবে নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (০৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত চারজনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুদ্রণ ব্যবসার সঙ্গে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনরা জড়িত বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের বই বিতরণ নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা দায়সারা মন্তব্য করেছেন। তিনি জনতার বিরুদ্ধে যারা অস্ত্র ধরেছে, তাদের বিচারের পাশাপাশি শেখ হাসিনার দোসরদের নামে থাকা সব স্থাপনা শহীদদের নামে নামকরণের আহ্বান জানান। রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগ, আন্তর্জাতিক প্রেসক্রিপশনে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে সরকার জনগণের প্রত্যাশার ব্যত্যয় ঘটিয়েছে।
সাক্ষাৎকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে গণঅভ্যুত্থানে ‘শহীদ’ ওই চার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন রিজভী। এসময় পরিবারগুলোকে আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়।
‘শহীদ’ পরিবারগুলোর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন- ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক সিনিয়র সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, শাকিল আহমেদ, ফরহাদ আলী সজীব, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
এ ছাড়া বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য হামিদুর রহমান হামিদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, ছাত্রদলের সহসভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আওয়াল, সাবেক সহসভাপতি জামিল হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক হাসানুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রবিউল আওয়াল, ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান রনি, শারিফুল, মোহান, মিসবাহ, রুবেল, মাসুদসহ গেন্ডারিয়া ও বংশাল থানা বিএনপির নেতারা ছিলেন।
মন্তব্য করুন