ক্ষমতার মসনদ ধরে রাখা এবং বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকার হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।
রোববার (০৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পল্টনস্থ মরহুম শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে যুব জাগপা আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ প্রধান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণআন্দোলন দমাতে শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি গত দেড় দশক ধরে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গুম-খুন, হামলা-মামলা, অত্যাচার-নির্যাতন করেছেন। সে কারণে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এটা দেশবাসীর দাবি। রাশেদ প্রধান বলেন, ২০১৪ সালের এই দিনের ভোটারবিহীন নির্বাচন ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায় রচিত করেছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে দেশের জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার, ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ১৫৪টি আসনে কোনো ভোট হয়নি। বাকি আসনগুলোতে কিছু কুকুর ছিল, ভোটার ছিল না। সেদিন দিনাজপুরে যুব জাগপা নেতা ‘শহীদ’ মাসুদ রায়হান আজকের শহীদ আবু সাঈদের মতোই দুহাত প্রসারিত করে দিয়েছিল গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য। ২০১৪-তে মাসুদ রায়হান যেই যুদ্ধ শুরু করেছিল, ২০২৪-এ এসে আবু সাঈদরা সেই যুদ্ধ শেষ করেছে। বিগত ১০ বছরে অসংখ্য শহীদের হত্যার বিচার করতে হবে, আমাদের দায়মুক্ত হতে হবে। যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, সাধারণ সম্পাদক জীবন আহমেদ অভি, সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আদিবা খানম, দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম, যুব জাগপার মানোয়ার হোসেন, পাবেল আহমেদ, রাকিব হোসেন, ছাত্রনেতা আল আমিন শুভ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম বাবলু বলেন, দেশের জন্য তরুণদের সব আন্দোলনে আত্মত্যাগ ইমানের পরীক্ষা। যুব জাগপা সব সময় এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রয়োজন হলে দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় আরেকটি সংগ্রাম হবে আমাদের চূড়ান্ত বিজয়।
মন্তব্য করুন