খেলাফত আন্দোলনের নেতারা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ চাঁদাবাজির কালো হাত থেকে নিষ্কৃতি চায়। একইসঙ্গে ধর্মবিদ্বেষ, দুর্নীতির অবসান দেখতে চায়।
শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর লালবাগ কেল্লা মোড়স্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরের মাসিক পরামর্শ সভায় তারা এ কথা বলেন।
খেলাফত আন্দোলনের নেতারা আরও বলেন, দফায় দফায় চাঁদা দিতে বাধ্য হওয়ায় গ্রাম থেকে শহরে আসা জিনিসপত্রে দাম বেড়ে যায় অনেক। জালেম সরকারের পতনের পরও বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক চাঁদাবাজির খবর শোনা যাচ্ছে। পরিবহন স্ট্যান্ড, জলমহাল, বালুঘাট, প্রতিপক্ষের বাড়িঘর, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি দখলের খবর আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জালেম সরকারের পতনের পর এই চিত্র সত্যিই হতাশাজনক। সরকারকে কঠোর হস্তে এসব দমন করতে হবে। চাঁদাবাজির পাশাপাশি ধর্মবিদ্বেষের ঘটনাও ঘটছে। কুমিল্লায় জনসভার কারণে জোহরের আজান মাইকে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিকাব পরিধানকারী নারী সহকারী প্রক্টরকে পোশাকের কারণে কটূক্তির শিকার হতে হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্যের কারণে দেশবাসী শঙ্কিত। চাঁদাবাজি, ধর্মবিদ্বেষ, দুর্নীতির অবসান দেখতে চায় দেশের জনগণ। সাড়ে ১৫ বছরের নিষ্ঠুর স্বৈরশাসনের দিকে দেশের জনগণ কোনোভাবেই ফেরত যেতে চায় না। জনগণের এই আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটাতে হলে অন্তর্বর্তী সরকার, সব রাজনৈতিক দল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সব অংশীজনের পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়াতে হবে, দেশের স্বার্থে নিজেদের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষের সদিচ্ছা না থাকলে একসময় তারা পতিত সরকারের মতো গণধিকৃত গোষ্ঠীতে পরিণত হবে।
খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোফাচ্ছির হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পরামর্শ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর নায়েবে আমির মুফতি আখতারুজ্জামান আশরাফী, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম জামালী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবুল হাসান কাসেমী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মাহফুজুর রহমান, জাকির হুসাইন, অর্থ সম্পাদক মাওলানা জাফর আহমদ, প্রচার সম্পাদক মুফতি জসীম উদ্দীন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি রুহুল আমিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মাদুল্লাহ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সুমন, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা ইকরাম ইলাহী, নির্বাহী সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত প্রমুখ।
পরামর্শ সভায় দাওয়াতি মাস উপলক্ষে জানুয়ারি মাসব্যাপী সদস্য সংগ্রহ অভিযান বেগবানকরণ, ২০২৫ সালের সাংগঠনিক পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন, খেলাফত আন্দোলনের ১৫ দফা জাতীয় কর্মসূচির উপর গণসচেতনতা তৈরি, বিগত মাসের সাংগঠনিক কাজের রিপোর্ট পর্যালোচনা ইত্যাদিসহ জাতীয় ও সাংগঠনিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মন্তব্য করুন