ইসলামী ছাত্রশিবিরের নবনির্বাচিত সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্রশিবির গুপ্তভাবে নয়, ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর সম্মেলন করেছে। দলীয় প্রোগ্রামে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রশিবির নিয়ে তো আমাদের আগের প্রজন্মের ভাইয়েরা তো বলেছেন; আগের প্রজন্মকে কীভাবে উনারা সে সময় রান করেছেন। তো প্রত্যেকটা জিনিসের আসলে এভাবে প্রজন্মের একটা স্টেপ বাই স্টেপ থাকে সময়টাকে উপলব্ধি করে সেই আলোকে ডিসিশন নেন।
ইসলামী ছাত্রশিবির মিছিলের সংস্কৃতি দিয়ে কমিটি প্রকাশ করে না জানিয়ে এই নেতা বলেন, শিবির সন্দেহ শিবির সন্দেহ শিবির সন্দেহ— মানে এত বেশি এটাকে রিড করা হয়েছে, সন্দেহ করে পিটিয়ে মেরে ফেলা যাবে, এটা একটা সার্টিফিকেশন। শিবির সন্দেহ মানে পিটিয়ে মেরে ফেলা যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিতিদের উদ্দেশে জাহিদুল ইসলাম বলেন, আপনাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অসংখ্য ঘটনার সাক্ষী। আপনারা এখানে যারা আছেন, অনেক সাক্ষী আছেন এ ঘটনাগুলোর। এরপর ৫ আগস্ট-পরবর্তী যে বাংলাদেশ, এখানে ইমোশনাল অনেক বিষয় আছে।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে এখন আমাদের প্রশ্ন করা হয়, আপনারা কি গুপ্ত? এত বড় একটা নির্যাতিত, এত বড় একটা ভিকটিম সংগঠনের ওপর এই শব্দগুলো আরোপ করা হয়। আমি জানি না এটা মানবতার কোন লেভেল থেকে প্রশ্নগুলো বা এই জিনিসগুলো আমাদের মনের মধ্যে আসে!
জাহিদ বলেন, আজ ছাত্রশিবিরের এ প্রোগ্রাম কি প্রমাণ করে ছাত্রশিবির গুপ্ত কোনো বিষয়? শিবিরের সাইন্স টেস্ট কি প্রমাণ করে শিবিরের গুরুত্ব কোনো অংশে কম?
বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের সভাপতি বলেন, আমাদের সেই ’৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর কেন্দ্রীয় সভা থেকে শুরু করে একবারে ইউনিট পর্যন্ত প্রতিটা সেটআপই হয়েছে। ছাত্রশিবির প্রতিটা কাজ প্রতিটা মুহূর্ত প্রতিটা সময় কন্টিনিউ করেছে। আগে মিডিয়ার ভাইয়েরা আমাদের কাছে আসতেন না; ইভেন আমরা যদি কোনো একটা বিষয়ে বলতাম যে ভাই এটা কেউ আমাদের প্রচার করুন, সেটাও তারা করতেন না। কেন করতেন না, সেটা তাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। এমনও হয়েছে যে আমাদের নিউজ কাভারেজের কারণে অনেক সাংবাদিকের চাকরি নিয়ে টান শুরু হয়েছে। এ রকম ঘটনা অসংখ্য।
কমিটি নিয়ে জাহিদুল বলেন, ছাত্রশিবিরের একটা মোর্যাল ভ্যালুস আমরা ক্রিয়েট করি সেটা হলো, নিজেকে এত বেশি উপস্থাপনের কিছু নাই। যেটা আমাদের শিশির ভাই অনেকগুলো প্রত্যাশার কথা বলেছেন যে ঢাকঢোল পেটানো। যেমন আমরা কিছু কমিটি এখন হচ্ছে দেখছি; কমিটি হওয়ার পর মাশাল্লাহ উনার পেছনে একটা গ্রুপ মিছিল করে; আবার উনার কমিটি হইছে কেন, পাল্টা আরেক গ্রুপ বিশাল মিছিল করে। এই ধরনের মিছিলের সংস্কৃতি দিয়ে আমরা আমাদের কমিটি প্রকাশ, কমিটির ঢাকঢোল পেটানো এ রকম ফিল করি না এবং আমরা দায়িত্বের অনুভূতিটাকে বেশি ফিল করি।
মন্তব্য করুন