গণঅধিকার পরিষদে (জিওপি) যোগদান করে দলীয় মুখপাত্র (উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদমর্যাদায়) হয়েছেন ফারুক হাসান। দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান তাকে এই পদে মনোনীত করেন। এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণঅধিকার পরিষদে (জিওপি) যোগদান করেন ফারুক হাসান, যিনি গণঅধিকার পরিষদের (মিয়া মশিউজ্জামান) সদস্য সচিব ছিলেন।
গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) ওই সংবাদ সম্মেলনে নতুন বাংলাদেশ গঠনে অতীতের সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে সকল ব্যবধান ভুলে গণঅধিকার পরিষদকে এক করা হয়েছে। দু-একজন এর বাইরে থাকতে পারে। তিনি আশা করেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এরা সবাই যুক্ত হবেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। পরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন রেজা কিবরিয়া। একপর্যায়ে নুরুল হক নুর ও রাশেদ খানের নেতৃত্বে দলটির একাংশ এবং মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বে অপরাংশ গঠিত হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নুর-রাশেদের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়। এরপর গণঅধিকার পরিষদের (মশিউজ্জামান-ফারুক) সদস্য সচিব ফারুক হাসান গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)-এ যোগদান করেন। এদিকে দলীয় সংহতিবিরোধী তৎপরতা পরিচালনার অভিযোগে ফারুক হাসানকে অব্যাহতি ও তার দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। ৩০ ডিসেম্বর গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) নতুন দলীয় মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেন, গণঅধিকার পরিষদ বিগত দেড় বছর বেশকিছু মতপার্থক্যের কারণে আলাদাভাবে পথ চলছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে তরুণদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচার বিদায় হয়। দেশ ও জাতি এখন তরুণদের ঐক্যবদ্ধ দেখতে চায়। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করতেই আমরা গণঅধিকার পরিষদকে একীভূত করেছি। একইসঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, ২০২৪ সালের বিপ্লবের নেতৃবৃন্দ মানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব এবং আমরা খুব শিগগিরই ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে কাজ করব ইনশাআল্লাহ। আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্যের বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন