বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে আহত শেরপুরের সেলিম দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) তার জরুরি অস্ত্রোপচার হয়।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সেলিমকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম। এ সময় আহত সেলিমের মায়ের কাছে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
রফিকুল ইসলাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সেলিমের চিকিৎসার খোঁজ নেন। তিনি বলেন, গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে তাকে চিকিৎসা না করে বরং হয়রানি করে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় সেলিমের কান্নায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের ঘটনা ঘটে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ড্যাব ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল শাখার সভাপতি ডা. মো. বদর উদ্দিন সোহেল, সাধারণ সম্পাদক ডা. নাসিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, যুবদলের সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক সহসভাপতি ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্রদলের সহসভাপতি ডা. আউয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান, ছাত্রদলের সাবেক স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. এরশাদ মিয়া, প্রাইভেট মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মমি আনসারিসহ ড্যাব নেতারা।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসা কাজে বাধাদানকারী গত ফ্যাসিস্ট সরকারের মদদপুষ্ট ওই সকল ডাক্তাররা এখনো বহাল তবিয়তে তাদের স্ব স্ব জায়গায় কাজ করে যাচ্ছেন। অভিযোগ আছে যে, তাদের অনেকেই অন্য এক গোষ্ঠীর সহায়তায় পদন্নোতি কিংবা তাদের চাহিদা মতো পোস্টিং করে নিচ্ছেন। দলের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও গণতান্ত্রিক আন্দোলন কিংবা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা সাহায্য ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে এবং চিকিৎসা প্রদানে বাধা দানকারী ওই সব চিকিৎসককে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন