প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, দেশবাসী চরম উদ্বিগ্ন। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর পতিত সরকারের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করতে একের পর এক চক্রান্ত করেই চলছে। সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড এমন চক্রান্তের অংশ কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এর মূল কারণ উদঘাটন করতে হবে। কোনোভাবেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) গাজীপুরে জামিয়াতুল উলূমুল ইসলামিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত ইসলামী মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাজিদুর রহমান বলেন, সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তামূলক স্থানে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা, ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীর মৃত্যু এবং দুই-তিনজন আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ এবং হতাহতদের জন্য শোক ও সহানুভূতি প্রকাশ করছি। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে ভস্মীভূত হওয়ায় দেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে নিহতের পরিবারসহ আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য জোরালো আহ্বান জানান হেফাজত মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালালেও তাদের প্রেতাত্মারা প্রশাসনসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে দেশ নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা রকম ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তারা একেক সময় একেক পোশাকে এসে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। আমরা দেশবিরোধী যে কোনো চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবো ইনশাআল্লাহ। জুলাই বিপ্লবকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।
হেফাজতের মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছি এবং এখনো দিচ্ছি। আমরা এই সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দিতে চাই না। দেশে শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো, হক্কানী উলামায়ে কেরামদের পরামর্শেই রাষ্ট্র পরিচালনা করুন। আলেম উলামাসহ দেশের আপামর তৌহিদী জনতার ঈমানী দাবিগুলো মেনে তা রাষ্ট্রীয়ভাবে কার্যকর করুন।
তিনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়ে বলেন, বিগত পতিত সরকারের আমলে এদেশে নাস্তিক্যবাদ ও বাতিল ফেরকাসহ আহমাদিয়া জামাত নামধারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের আস্ফালন ও অপতৎপরতা এ পরিমাণ বেড়েছিলো, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী ৫৩ বছরে আর কখনো দেখা যায়নি। তাই আমরা আল্লাহ, আল্লাহর প্রিয় বন্ধু মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কুরআন-সুন্নাহ তথা- ইসলামকে নিয়ে কটাক্ষকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন প্রনয়ণ করুন এবং কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষ
মন্তব্য করুন