বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানে শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি প্রাণ দিলেও গণঅভ্যুত্থান তাদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আনেনি। গণঅভ্যুত্থানের কোনো সুফল এখনো শ্রমিকদের ঘরে পৌঁছেনি। গণঅভ্যুত্থানে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের আত্মদান ও বিশাল অবদানেরও উপযুক্ত স্বীকৃতি ও মর্যাদা মেলেনি।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে আশুলিয়ার শ্রীপুরে ঢাকা জেলা শিল্পাঞ্চল কমিটির সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রমিকরা স্বস্তিতে না থাকলে অন্তর্বর্তী সরকারেও স্বস্তি আসবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে মালিক ও সরকার পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত ১৮ দফা চুক্তির অধিকাংশই এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
গার্মেন্টস শিল্পে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে উৎপাদনে গতি আনতে অবিলম্বে স্বাক্ষরিত ১৮ দফা বাস্তবায়নের জন্য মালিক ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমিয়ে দিয়েছে। তিনি শ্রমিকদের জন্য বাঁচার মতো মজুরি নির্ধারণেরও দাবি জানান।
সম্মেলনে বহ্নিশিখা জামালী বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অন্তর্বর্তী সরকারের ভালো কাজও মানুষ মূল্যায়ন করবে না। তিনি শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান।
আকবর খান বলেন, শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ না করে কোনো উন্নয়ন হতে পারে না।
মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক বলেন, শ্রমিকদের বাঁচার আন্দোলন কোনো ষড়যন্ত্র নয়।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা জেলা শিল্পাঞ্চল কমিটির আহ্বায়ক অরবিন্দু বেপারী বিন্দুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য নারীনেত্রী বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, শ্রমিক নেতা আব্দুল হালিম ভূইয়া, মোহাম্মদ সুমন, ডা. বাবুল হোসেন, সজল হালদার, মোহাম্মদ শাহজাহান, আশরাফুল ইসলাম আশরাফ, ময়নুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন