স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এ দেশের ইসলামি শক্তির উপর দিয়ে পার হওয়া কঠিন দুঃসময়ে সর্বজনশ্রদ্ধেয় বুজুর্গ হযরত হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) ইসলামি রাজনীতির কাজ শুরু করেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত এক সাংগঠনিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) প্রতিষ্ঠিত সংগঠন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন একটি ইলহামি সংগঠন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যখন ওলামায়ে কেরামকে রাজাকার, আল-বদর বলে গালি দেওয়া হতো এমন এক দুঃসময়ে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) খেলাফত আন্দোলনের কাজ শুরু করেন।
তিনি বলেন, ইসলামি অঙ্গনের কেউ যখন এই ময়দানে এগিয়ে আসতে রাজি ছিলেন না তখন হাফেজ্জী হুজুর কাজ শুরু করেন এবং তার এই সংগঠন বিশাল রূপ ধারণ করে। কিন্তু আন্দোলনের বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে শত্রুদের শত্রুতাও বাড়তে থাকে। খেলাফত আন্দোলন কারো কোনো ক্ষতি না করা সত্ত্বেও অনেকেরই দুশমনির শিকার হয়েছে। তবে খেলাফত আন্দোলনের কর্মীদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য যদি ঠিক থাকে, দ্বীনি চেতনা যদি মজবুত থাকে তাহলে কোনো সমালোচকের সমালোচনা, কারো দুশমনি আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। সমসাময়িক বিষয়ে আমাদের কথা বলা, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা অব্যাহত রাখতে হবে।
মাওলানা সাঈদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিটি কর্মীকে আল্লাহর বান্দা হিসেবে, রাসুলের সৈনিক হিসেবে, খেলাফত আন্দোলনের কর্মী হিসেবে সর্বপ্রথম নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে হবে এবং আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। তাদের প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষের মৃত্যু পরবর্তী জীবন এবং পার্থিব সব সমস্যার সমাধান যে একমাত্র ইসলামি জীবনব্যবস্থার মধ্যেই রয়েছে সে বিষয়টি সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষায় তাদের কাছে তুলে ধরতে হবে। ইসলামের শত্রুদের মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে নাস্তিক্যবাদকে মোকাবিলা করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
কামরাঙ্গীরচরের মারকাজুল খেলাফত জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় নগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবুল হাসান কাসেমী ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি রুহুল আমীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন- খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা মাহবুবুর রহমান। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন- নায়েবে আমির মাওলানা সাঈদুর রহমান। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মোফাচ্ছির হোসাইন এবং নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও যাত্রাবাড়ী থানা আমির মুফতি মাহফুজুর রহমান।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন- খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর নায়েবে আমির মাওলানা মোফাজ্জল হোসাইন, মুফতি আখতারুজ্জামান আশরাফী, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম জামালী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হুসাইন, অর্থ সম্পাদক মাওলানা জাফর আহমদ, প্রচার সম্পাদক মুফতি জসিম উদ্দিন খান, সহপ্রচার সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, বিচার ও আইন সম্পাদক মুফতি আবু বকর, সহশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি জাকির হুসাইন, দাওয়াত ও তাবলিগ সম্পাদক মাওলানা তানযিল হাসান, সহদাওয়াত তাবলিগ সম্পাদক মুফতি মাহমুদুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মাদুল্লাহ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সুমনসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানার দায়িত্বশীলরা।
মন্তব্য করুন