যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান এবং ‘অবরুদ্ধ বাংলাদেশ’ ও ‘একটি ভোরের প্রতিক্ষা’ গ্রন্থের লেখক সায়েক এম রহমানকে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
লন্ডনপ্রবাসী সায়েক এম রহমানের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উদ্যোগে এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিনের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট মীর নুরুন্নবী উজ্জ্বল, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রফেসর নজরুল ইসলাম তামেজী, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এস এম ইউনুস আলী রবি, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলা পোস্টের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সাবেক মহাসচিব মফিজুর রহমান লিটন, হৃদয়ে পতাকা ২ মার্চের সভাপতি কবি শাহানা সুলতানা, দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার মফস্বল সম্পাদক মোঃ আজগর হোসেন ও মানবাধিকার সংগঠক মনিরুল ইসলাম মনির।
অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ ‘অবরুদ্ধ বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ লেখক ও গবেষক সায়েক এম রহমানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সংগঠনের নেতারা। এছাড়াও তাকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মানিত করেন শাহানা সুলতানা। স্মারক সম্মাননা তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট মীর নুরুন্নবী উজ্জ্বল। সংগঠনের মগ উপহার দেন সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন।
এ সময় সায়েক এম রহমান তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমি সত্যিই অভিভূত ও আনন্দিত। জুলাই-২৪’র পর যে নতুন বাংলাদেশ, সেখানে সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।
এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, সবাই মিলে সেই বাংলাদেশকে গড়তে হবে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অনুপস্থিতিতেই ফ্যাসিবাদী আমলে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি 'অবরুদ্ধ বাংলাদেশ' এবং 'একটি ভোরের প্রতিক্ষা' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করে আমাদের কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মীর নুরুন্নবী উজ্জ্বল বলেন, বিদেশের মাটিতে বসে সায়েক এম রহমানদের মতো দেশপ্রেমিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন বিধায় আমরা জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে হটাতে পেরেছি। তবে এখনও চারদিকে ফ্যাসিবাদের দোসররা আনাগোনা করছে। ঐক্যবদ্ধভাবে তাদেরকে রুখে দিতে হবে। কোনোভাবে তাদেরকে ক্ষমা করা যাবে না। কারণ, তাদের হাতে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ লেগে আছে।
মন্তব্য করুন