বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। একইসঙ্গে দুই সমর্থককে বহিষ্কার করে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করেছে সংগঠনটি।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা জেলা (দক্ষিণ) এর প্রচার সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আমির অ্যাড. মু. শাহজাহান, জেলা সেক্রেটারি ড. সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকী, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমির মু. মাহফুজুর রহমান ও উপজেলা সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন ২৩ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছনার ঘটনার প্রতি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। আমরা এই দুঃখজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। জামায়াতে ইসলামী শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা নয়, দেশের সাধারণ কোনো নাগরিককেও হেনস্তা করা সমর্থন করে না। এই দুঃখজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করার জন্য আমরা সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা জামায়াতে ইসলামীর কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী নয়। জামায়াতে ইসলামীর কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই সমর্থন করে না এবং প্রশ্রয় দেয় না। আমরা স্থানীয়ভাবে খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, আবদুল হাই কানু তার নিজ এলাকায় হত্যা মামলাসহ ৯টি মামলার আসামি। আমরা মনে করি, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঢাকায় অবস্থানকারী আবুল হাশেম ও দুবাই ফেরত অহিদুর রহমানের শাস্তি দাবি করছি এবং কোনো অবস্থাতেই দেশবাসীকে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা নেতারা বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা মু. আবুল হাশেম, পিতা-মৃত আবদুল বারেক, সাং-কুলিয়ারা এবং মু. ওহিদুর রহমান, পিতা-মৃত শফিকুর রহমান, সাং-কুলিয়ারাসহ এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি এবং জামায়াতে ইসলামীর শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ভাব-মর্যাদার ক্ষুণ্ন করায় সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও তাদের জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করছি।’
মন্তব্য করুন