‘কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ’ এবং ‘কৃষি রপ্তানি নির্ভর বাংলাদেশ’ গড়তে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে’ বার্তাটি কৃষকদের মাঝে পৌঁছে দিলেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে সারাদেশে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে যশোরের বাঘারপাড়ার বন্দবিলা ও জহুরপুরে কৃষকের মাঠে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে এই বার্তা পৌঁছে দেন তিনি।
সমাবেশ দুটিকে ঘিরে এলাকার কৃষাণ-কৃষাণীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বয়ে যায়। এ সময় কৃষকরা সুসজ্জিত গরুর গাড়ি, লাঙ্গল, জোয়াল, মাথালি, কাচি নিয়ে সমাবেশে যোগদান করেন।
সমাবেশে তারেক রহমানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং কৃষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নেতারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব বলেন, তারেক রহমানের বার্তা পৌঁছে দিতেই সারাদেশে এই কৃষক সমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছে। বিএনপি জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আগামীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলে জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায় তারেক রহমানও কৃষকদের কল্যাণে কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ গড়বেন।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান যদি দেশে থাকতেন, তাহলে তিনি নিজেই সশরীরে আপনাদের কাছে আসতেন এবং বক্তব্য রাখতেন। তার উদ্যোগেই আজ সারাদেশে কৃষকদের সংগঠিত করার লক্ষ্যে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কারণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনে করেন- কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই তিনি কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে চান।
কৃষক দলের এই সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বলেন, পতিত শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দেশে কৃষকের কোনো মূল্য ছিলো না। তারা তাদের কষ্টার্জিত ফসলের মূল্য পায়নি। বরং দেশের দুই-তৃতীয়াংশ খেটে খাওয়া মানুষকে বিনা কারণে জেলে যেতে হয়েছে।
সমাবেশ থেকে আগামী নির্বাচনে দেশকে রক্ষা করতে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিতে সবাইকে প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানানো হয়।
পৃথক দুটি সমাবেশে অন্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি তানিয়া রহমান সুমি, সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, এখলাছ হোসেন, জেলা কৃষক দল নেতা উপাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন, হাবিবুল ইসলাম কচি, জাকির হোসেন, আমিরুল ইসলাম, ফুলমিয়া, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান তপন, আনোয়ার হোসেন ভুট্টো, উপজেলা কৃষক দল নেতা মশিউল আজম, আব্দুল মালিক, তিতাস হোসেন, নাজিম উদ্দীন, রাশেদুজ্জামান, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন