কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের ৩ দফা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান। ছবি : কালবেলা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান। ছবি : কালবেলা

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৩ দফার একটি স্মারকলিপি দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের একাংশ। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করে এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন দলটির একাংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

অন্য সদস্যরা হলেন- দলের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, দপ্তর সমন্বয়ক আরিফ বিল্লাহ, শহীদ মেজর (অব.) তানভীর হায়দারের স্ত্রী তাসনুভা মাহা এবং সাবেক সেনা সদস্য আব্দুল হান্নান।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় পরিকল্পনায় বিডিআর অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিডিআর উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিগত শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ভারতীয় চাপে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু কোনো তদন্ত হয়নি, বরং প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এখনো সেই মিথ্যা মামলায় অসংখ্য সদস্য কারাগারে বন্দি রয়েছে। সরকার যেহেতু এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কমিশন গঠনের কথা বলেছেন, সেহেতু সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গণঅধিকার পরিষদ ৩ দফার একটি স্মারকলিপি প্রদান করছে।

৩ দফা হলো :

১. পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পূর্ববর্তী সকল কমিশন বাতিল করে নতুন করে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করতে হবে। এই কমিশন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত ও গেজেটভুক্ত হতে হবে।

তদন্ত কমিশন গঠনে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশনকে একটি জাতীয় কমিশনে রূপ দিতে হবে। ক. সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে প্রধান করতে হবে। খ. হাইকোর্ট বিভাগের ১/২ জন বিচারপতিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গ. বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সাবেক সিনিয়র অফিসারদের মধ্য থেকে ১/২ জনকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ঘ. একজন মানবাধিকার কর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে করে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়। ঙ. আন্তর্জাতিক গণহত্যা সম্পর্কিত একজন এক্সপার্টকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

২. বর্তমান সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির নাম পরিবর্তন করে আবারও বিডিআরে রূপান্তর করতে হবে। ৩. কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জামালপুরের সেই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

নোবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো ‘মিট আপ উইথ ভাইস চ্যান্সেলর’ অনুষ্ঠিত

প্রয়োজন পরিবেশদূষণের টেকসই সমাধান : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

চলে গেলেন তথ্যপ্রযুক্তির নায়ক এস এম কামাল

বাংলাদেশকে ৭ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা দিচ্ছে আইএমএফ

গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করাই বিএনপির লক্ষ্য : চসিক মেয়র

খেলাফত মজলিসে যোগ দিলেন মাওলানা শাহীনূর পাশা

চবিতে গুপ্ত হত্যার প্রতিবাদ

পাঁচ শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

আরাফাতের শতকের পরও হারল নৌবাহিনী

১০

যশোরে মাদ্রাসার ভিডিওটি ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’

১১

ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১২

ইজতেমায় সংঘর্ষের ঘটনায় জামায়াতের বিবৃতি

১৩

ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ঘটনায় হেফাজতের নিন্দা 

১৪

আত্মবিশ্বাসেই সফল শামীম

১৫

রাজশাহীতে আবাসিক হোটেলে চাঁদা না পেয়ে লুটপাট

১৬

ফেনীতে ১৩২ পরিবারে গৃহনির্মাণ সামগ্রী দিলেন আমেরিকান প্রবাসীরা

১৭

সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দস্তগীর গ্রেপ্তার

১৮

৩১ দফা সফল করে জুলুম-নির্যাতনের জবাব দেব : তারেক রহমান

১৯

ইজতেমায় হামলা নিয়ে যা বললেন হেফাজতের আমির

২০
X