তাবলিগের দুপক্ষের মধ্যে বিরাজমান সমস্যায় মঙ্গলবার ভোর রাতে সংঘর্ষের কারণে হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। তিনি হতাহতের ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাদের ইন্ধনে ঘটেছে এবং যারা সরাসরি হামলা চালিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা, নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে পুরানা পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় এ উদ্বেগের কথা জানান।
তিনি বলেন, তাবলিগ জামায়াত বিশ্বের শান্তিপূর্ণ ও প্রেমময় ধারার একটি দাওয়াতি কাফেলা। মুসলমানকে সন্মান করা, মানুষের কল্যাণ কামনা করে বিনীত ও মাধুর্যময় ভাষায় দাওয়াত উপস্থাপন করার মাধ্যমে তাবলিগ সারা বিশ্বের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি কার্যক্রম হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে।
সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, মাওলানা সাদ’র কিছু বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামায়াতে দুটি ধারা তৈরি হয়েছে। যা দুঃখজনক হলেও একে কেন্দ্র করে দুপক্ষ সংঘাতে জড়ানো উদ্বেগজনক এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত। বিশেষ করে ২০২৫ এর ইজতেমাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটছে তা কল্পনাতীত। ইসলামের দাওয়াতি মেজাজ, তাবলিগের ইতিহাস, চরিত্র বিবেচনায় এমন হানাহানি ও মৃত্যুর কথা চিন্তাও করা যায় না। অবাক বিস্ময়ে তাই আমাদের দেখতে হচ্ছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা এবং তার করুণ প্রতিফল বিবেচনায় উম্মাহর যে কোনো সদস্যের ন্যায় আমরাও ব্যথিত ও কম্পিত।
তাই উভয় পক্ষের নেতাদের প্রতি অনুরোধ করছি, নিজস্ব সমস্যার সমাধান নিজেরাই করুন। দেশের সর্বজন স্বীকৃত উলামায়ে কেরাম এবং প্রয়োজনবোধে দেওবন্দ, করাচি ও আরবের সর্বজন স্বীকৃত উলামায়ে কেরামের মসন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন। কিন্তু কোন অবস্থাতেই এই ধরণের হানাহানি পরিহার করুন।
এ ছাড়াও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হয়ে সমবেদনা জানাতে বুধবার বিকেলে কাকরাইল মারকাজ মসজিদে উপস্থিত হয়ে দায়িত্বশীলদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা আতাউর রহমান, আতিয়ার রহমান, লোকমান জাফরী, খলিলুর রহমান, শহিদুল ইসলাম কবির, মুফতি রেজাউল করীম আবরার ও ওবায়েদ বিন মোস্তফা প্রমুখ।
মন্তব্য করুন