বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান বলেছেন, ভারত তার দাদাগিরির কারণে প্রতিবেশী বন্ধুশূন্য হয়ে গেছে। আজ তাদের একমাত্র বন্ধু আওয়ামী লীগের পতনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা। আমাদের হাইকমিশনে হামলা করে পতাকা ছিঁড়েছে তারা।
তিনি আরও বলেন, এখন বিজয় দিবসকে অস্বীকার করছে। আমরা সাম্প্রদায়িক মোদির শিষ্টাচারবহির্ভূত মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। তার বক্তব্যকে দেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে ভারতের মিডিয়ায় অপপ্রচার ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
লায়ন ফারুক বলেন, আওয়ামী প্রেতাত্মাদের নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠন হবে না। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছিল স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার। তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। আজ যারা স্বৈরাচারীর দোসর, যারা আওয়ামী লীগের আমলে এমপি হয়েছিল, তারা এখন বিভিন্ন অনুষ্ঠান দাওয়াত পায়। সাবের হোসেন চৌধুরীকে কেন জামিন দেওয়া হলো জাতি জানতে চায়।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মুহাম্মদ ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এমএ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের (পিএনপি) ফিরোজ মো. লিটন। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব মো. আমিনুল ইসলাম, দলীয় মুখপাত্র মো. শরিফুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ূন কবির, শওকত হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাঈদুল ইসলাম আসাদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য মো. শাহিন, মো. জাকির হোসেন, কুমিল্লা জেলা লেবার পার্টির সভাপতি মো. খোরশেদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন