খেলাফত মজলিসের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেছেন, এদেশের ১৮ কোটি মানুষ জীবন দিয়ে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে প্রস্তুত। একইসঙ্গে যারা দেশে ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসন করতে চায় দেশবাসী তাদেরও রুখে দিবে। ’৭১ এবং ’২৪-এর শহীদদের প্রত্যাশা পূরণে ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় পল্টনস্থ মজলিস মিলনায়তনে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশকে তার করদ রাজ্যে পরিণত করতে চেয়েছিল। বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে বাংলাদেশকে শোষণ করেছে। ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর ভারতের কষ্ট বেড়ে গেছে।
জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, আজকে (১৬ ডিসেম্বর) নরেন্দ্র মোদি ‘বিজয় দিবসের’ টুইটে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়কে ‘ভারতের বিজয়’ বলে উল্লেখ করেছেন। তার পুরো বক্তব্যে বাংলাদেশের নামটা পর্যন্ত উল্লেখ করেননি। এর আগে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা করা হয়েছে। পতিত শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো আঘাত সহ্য করা হবে না।
খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসাইন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জলিল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহসংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আব্দুল হক আমিনী, মহানগরী সহসভাপতি মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, সহসাধারণ সম্পাদক কাজী আরিফুর রহমান, সংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, নির্বাহী সদস্য মাওলানা ফরিদ আহমদ হেলালী, শামসুল উলুম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, রামপুরা থানা সভাপতি মাওলানা শওকত জামিল প্রমুখ।
সভায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের ও ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামানা করে এবং আহতের সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া-মোনাজাত করা হয়।
মন্তব্য করুন